TMC

TMC: স্থায়ী কমিটিতে আরও বেশি বিলের স্ক্রুটিনি চেয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ালেন ডেরেক

শনিবারই লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। এ বিষয়ে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ ও তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন সক্রিয় ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১২
Share:

তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ফাইল চিত্র।

লোকসভা ও রাজ্যসভার যাবতীয় কমিটি ঘোষণা হয়েছে শনিবার। আর রবিবারই পাল্টা চাল দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল তৃণমূল সংসদীয় দল। রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক একটি টুইট করে সংসদীয় কমিটিতে বিলগুলি নিয়ে স্ক্রুটিনির দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল রাতে সংসদীয় কমিটিগুলি ঘোষণা হয়েছে শুনে আনন্দিত হলাম। শুনছি যে আমার ও জয়রাম রমেশের কারণেই নাকি এই ঘোষণা হয়েছে? আমরা সংসদীয় রাজনীতিকে আরও দৃঢ় করতে চাই।’ এরপরেই হুমকির সুরে ডেরেক লিখেছেন, ‘কেবলমাত্র সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজিরা দিতে আমরা যাব না। বেশি করে বিলগুলির স্ক্রুটিনি করতে হবে। ১০টি মধ্যে একটির আলোচনা করলে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন উদ্যোগ আমরা মেনে নেব না।’

নিজের টুইটের সঙ্গে একটি পরিসংখ্যানও দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা। সেই পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, চতুর্দশ লোকসভায় বিলের স্ক্রুটিনির হার ৬০ শতাংশ। পঞ্চদশ লোকসভায় সেই স্ক্রুটিনি বেড়ে হয়েছিল ৭১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর ষোড়শ লোকসভায় স্ক্রুটিনির শতাংশ দাড়িয়েছিল ২৫-এ। এ ভাবে চলতে থাকলে সপ্তদশ লোকসভায় মাত্র ১১ শতাংশ বিলের স্ক্রুটিনি হবে বলে দাবি করেছেন ডেরেক।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শনিবারই লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। এ বিষয়ে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ ও তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন সক্রিয় ছিলেন। বিজেপি সাংসদরা তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে শশী তারুরকে সরানোর দাবি তুললেও তাঁকে ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটিতে এসেছেন তৃণমূলের নতুন রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার। তৃণমূলের আর এক নতুন সাংসদ সুস্মিতা দেব শিক্ষা, নারী, শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে গিয়েছেন। ডেরেক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে চলে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে। রাহুল গাঁধী আগের মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভড়েকরদের স্থায়ী কমিটিতে স্থান হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ হিসেবেই শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement