ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের অভ্যন্তরে সন্দেহভাজন তালিবানি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে সক্রিয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সন্দেহভাজন ওই ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের বায়ুসেনা। হামলায় মহিলা এবং শিশু-সহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। সেই হামলার কয়েকটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরালও হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত টিটিপি গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা। গত দেড় দশকে একাধিক অভিযান চালিয়েও তাদের বাগে আনতে পারেনি পাক সেনা। ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ চালিয়েছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে টিটিপি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক সরকারের শান্তিবৈঠক ভেস্তে যায়। তার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে আফগানিস্তান সীমান্তে টিটিপি-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। অভিযানের জবাবে সেনা এবং অসামরিক নিশানার উপর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে টিটিপিও। আফগানিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই আবার পাক বায়ুসেনার মঙ্গলবারের ওই হামলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত বরাবর একটি পাহাড়ি এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও পাক যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের কত গভীরে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। একটি ভিডিয়োয় বিধ্বংসী বিমান হামলার ইনফ্রারেড ফুটেজ ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। মার্চের পর থেকে আফগানিস্তানে টিটিপি আস্তানায় এই নিয়ে দ্বিতীয় হামলা চালাল পাক সেনা।
উল্লেখ্য, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সেই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং হামলাটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের শামিল বলেও মন্তব্য করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, পাকিস্তান আদতে নারী এবং শিশু-সহ সাধারণ মানুষদের উপর হামলা চালিয়েছে। যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলের অনেক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও খবর।