কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভা এলাকার বকেয়া করদাতাদের সুদ ও জরিমানায় আর মিলবে না বড় ধরনের ছাড়। আগামী নভেম্বর মাস থেকে নতুন ওয়েভার স্কিম চালু করতে চলেছে পুরসভা। সেই স্কিম চালু হলে দীর্ঘ দিনের বকেয়া কর মেটালেও এ বার আর সুদ ও জরিমানায় বিপুল ছাড় দেওয়া হবে না। যত কম সময়ের ব্যবধানে কর মেটাবেন বকেয়া করদাতারা, ততই কমবে সুদ ও জরিমানার উপর ছাড়ের পরিমাণ।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন প্রস্তাবিত এই ওয়েভার স্কিম চালু হবে রাজ্যের উৎসব পর্ব মিটে গেলেই। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বৈঠকে এই নয়া ওয়েভার স্কিমের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি কর বিভাগের আধিকারিকেরা মনে করছেন, নতুন এই স্কিমের ফলে পুরসভার আয়ের পরিমাণ বাড়বে।, নতুন এই পদ্ধতি চালু হলে করদাতাদের মধ্যে কর প্রদানে দেরি করার প্রবণতাও অনেকটাই কমে যাবে। যার ফলে রাজস্ব আদায়েও বৃদ্ধি সম্ভব হবে। এত দিন যে কয়েক দফা ওয়েভার হত, তাতে জরিমানা বাবদ ধার্য টাকার ৯৯ শতাংশ ও সুদ বাবদ ধার্য টাকার একবার ১০০ শতাংশ ছাড় ও আরেক দফায় ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সময়ে আবেদনের ভিত্তিতে ও মেয়রের ইচ্ছায় সুদের উপর সর্বাধিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় মিলেছিল। কিন্তু এই বিরাট ছাড় পাওয়ার ক্ষেত্রে ইতি টানতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন স্কিমে যত দীর্ঘ দিন কর বকেয়া থাকবে, ততই ছাড় কমবে সুদ ও জরিমানার উপর। তবে প্রস্তাবিত স্কিমে উল্লেখ রয়েছে যে, দু’বছর পর্যন্ত বকেয়া আছে এমন করদাতারা কর মেটালে জরিমানা ৯৯ শতাংশ ও সুদ ৫০ শতাংশ মকুব হবে। দু’বছরের বেশি বা ৫ বছরের কম সময় বকেয়া কর মেটানোর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও ৪৫ শতাংশ সুদে ছাড় মিলবে। আবার ৫ বছর থেকে ১০ বছর বকেয়া রয়েছে, এমন কর মেটানোর ক্ষেত্রে করদাতাদের জরিমানার উপর ৫০ শতাংশ ও সুদের উপর ৩৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া কর না মেটানোর ক্ষেত্রে জরিমানার উপর ২৫ শতাংশ ও সুদের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় মিলবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পুজোর পর এই নতুন স্কিম চালু করার পক্ষে তারা। আপাতত নভেম্বর মাসেই এই নতুন পদ্ধতি চালু করার পক্ষপাতী পুর কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে বকেয়া করদাতাদের আর অতিরিক্ত সুযোগ দিতে রাজি নয় পুরসভা।