dead body

বর্ধমানে ঘরের ভিতরে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ, অশান্তির জেরে আত্মঘাতী বলে অনুমান

অনুমান, মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে নিজেরাও আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেশীদের অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ২০:১১
Share:

একই পরিবারের ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

পারিবারিক অশান্তির জের, নাকি অবসাদ! একই পরিবারের ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বর্ধমানের লাকুড্ডি কালিন্দী পাড়ায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃত দম্পতির নাম বিকাশ কুমার (৪৩), প্রিয়ঙ্কা সাউ (৩৮) ও তাঁদের মেয়ে সুরভি সাউ (১১)। ওই দম্পতির পাঁচ বছরের একটি বাচ্চা ছেলেও রয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ছেলেটি বুধবার সকালে কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে যায়। প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পান দু’জনের দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে। তাঁদের মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় শোয়ানো ছিল। অনুমান করা হচ্ছে, মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে নিজেরাও আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। মানসিক অবসাদ কিংবা পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেশীদের অনুমান।

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বর্ধমান থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। প্রিয়ঙ্কার দাদা ঘনশ্যাম সাউ বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কার শ্বশুরবাড়ি উত্তরপ্রদেশে। সেখানে বনিবনা হত না। বারবার গিয়েও সেখানে না থাকতে পেরে তারা লাকুড্ডিতে থাকতে শুরু করে।’’

Advertisement

ঘনশ্যাম আরও জানান, প্রিয়ঙ্কার বাপের বাড়ি বর্ধমানের পুলিশ লাইনে। বাবার আর একটি বাড়িতেই থাকতেন বিকাশ ও প্রিয়ঙ্কা। সেখানে তাঁদের সংসার খরচের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হত। নীলপুরে একটি সব্জির দোকানও করে দেওয়া হয়েছিল বিকাশকে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিকাশ অলস প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। কোনও কাজ না করে বাড়িতেই বসে থাকতেন। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তা থেকেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাঁরা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement