কর্মীদের ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বোলপুর থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
খাদ্য দফতরের অফিস থেকেই উদ্ধার হল এক গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অরিজিৎ সিংহ (৪২)। তাঁর বাড়ি বোলপুর থানার রায়পুর গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি, খাদ্য দফতরে গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন অরিজিৎ। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ হয়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবারও বোলপুর শহরে খাদ্য দফতরের অফিসে আসেন অরিজিৎ। তবে অফিস ছুটি হয়ে গেলেও তিনি থেকে যান। এ দিন সকালে কর্মীদের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বোলপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অরিজিৎ আত্মঘাতী হয়েছেন।
মৃতের ভাই নীলাঞ্জন সিংহ বলেন, “অনেক দিন থেকেই চাকরির ব্যাপারে দাদার চাপা দুশ্চিন্তা ছিল। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলাতেও দাদাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটেছে বলতে পারব না।’’ বোলপুর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক সমীরণ বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই ঘটনায় আমিও অন্ধকারে। বুঝতে পারছি না কী ভাবে, কী কারণে ঘটল।”
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে অবৈধ ভাবে নিয়োগের ৪০ জনের তালিকায় লাভপুরের একটি স্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষকের নাম রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ওই ৪০টি নতুন ওএমআর শিট মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই ৪০ জন এসএসসি-র পরীক্ষায় কয়েকটি মাত্র উত্তর দিয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন। নিয়োগ পেয়ে চাকরিও করছেন এত দিন ধরে।
ওই শিক্ষকের সঙ্গে এ দিন অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মা বলেন, ‘‘আমার ছেলে কোথায় চাকরি করে না-করে, তা আপনাদের জানাতে বাধ্য নই।’’ বীরভূম জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আদালত থেকে আমাদের কাছে যাচাইয়ের জন্য কোনও তালিকা পাঠানো হয়নি। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।’’