ইডি দফতরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শিনী। —নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রী যখন হাসপাতালে, তখন রবিবার দুপুরে তাঁর কন্যা হঠাৎই পৌঁছে গেলেন সল্টলেকের ইডি দফতরে। কয়েক মিনিট পর আবার সেখান থেকে বেরিয়েও গেলেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শিনী কেন ইডি দফতরে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর হাতে একটি ফাইল দেখা গিয়েছে। তাতে কিছু কাগজপত্র ছিল। কাগজ জমা দিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে প্রিয়দর্শিনী গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুর ১টার পরে প্রিয়দর্শিনী সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন। তাঁর কাঁধে একটি ব্যাগ ছিল। হাতে ছিল একটি ফাইল। তাতে কী কাগজ রয়েছে, প্রিয়দর্শিনী সেই প্রশ্নের জবাব দেননি। তাঁকে ইডি তলব করেছিল কি না, কোনও নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল কি না, সব প্রশ্নের জবাবেই নীরব ছিলেন মন্ত্রীকন্যা। ইডি দফতরে পৌঁছে তিনি লিফ্টে উঠে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এসে আবার গাড়িতে উঠে যান।
রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে বৃহস্পতিবার তাঁর সল্টলেকের দু’টি ফ্ল্যাটে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। শুক্রবার জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতারির পর আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চাইছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে প্রিয়দর্শিনী উপস্থিত ছিলেন। আদালতে বাবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাগজপত্রও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
আদালত থেকে মন্ত্রীকে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পর তা প্রযোজ্য হবে। হাসপাতালের খরচ বহন করছেন মন্ত্রীর পরিবারই। জ্যোতিপ্রিয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোমবার আদালতে ইডিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রবিবার ইডি আধিকারিক হাসপাতালে তাঁর খোঁজ নিতেও যেতে পারেন।