Darjeeling

Tourism: গরমের ছুটি পড়তেই পাহাড়ে ছুট! ঠাঁই দিতে হিমশিম খাচ্ছে দার্জিলিং থেকে লোলেগাঁও

দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সান্দাকফু, লাভা, লোলেগাঁও-সহ নানা এলাকা ভিড়ে ভিড়াক্কার। হোটেল ছাড়া ছোট-বড় হোমস্টেগুলির চাহিদা তুঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ২০:১৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

গরমের ছুটি পড়তেই পর্যটকদের থিকথিকে ভিড়ে জমজমাট পাহাড়। তবে তাঁদের জন্য বুকিংয়ের ব্যবস্থা করতেই হিমশিম খাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ হোটেল মালিক। তাঁদের দাবি, গ্রীষ্মের দাবদাহ এড়াতে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ছুটি কাটাতে চাইছেন দক্ষিণবঙ্গ-সহ গোটা দেশের পর্যটকেরা। প্রতি দিনই বুকিংয়ের জন্য ফোন করছেন তাঁরা। তবে তাঁদের হোটেলে জায়গা দিতে নাভিশ্বাস উঠছে।

গ্রীষ্মের দাবদাহে দক্ষিণবঙ্গ নাজেহাল হলেও উত্তরে মনোরম আবহাওয়া। তার টানেই প্রতি দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সান্দাকফু, লাভা, লোলেগাঁও-সহ বিস্তীর্ণ পার্বত্য এলাকায় ভিড় জমছে বলে মত হোটেল মালিকদের। পাশাপাশি, গরমের ছুটি এগিয়ে আনার জন্য রাজ্য সরকারের ঘোষণার ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের প্রবল গরমে নাজেহাল মানুষজন উত্তরের দিকে পা বাড়িয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। দার্জিলিং বা কালিম্পংয়ের মতো এলাকায় বড় বড় হোটেলগুলি ছাড়াও বহু ছোট-বড় হোমস্টে-রও চাহিদা তুঙ্গে।

Advertisement

প্রতি দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সান্দাকফু, লাভা-সহ বিস্তীর্ণ পার্বত্য এলাকায় ভিড় জমছে —নিজস্ব চিত্র।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘হোটেলগুলিতে জায়গার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। গরমের ছুটি এগিয়ে আনার জন্য হঠাৎই ভিড় বেড়েছে। ফলে বুকিং দিতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে। খুব খুঁজে হয়তো একটা-দুটো রুম বার করতে হচ্ছে। অনেক গ্রামের দিকেও থাকার জায়গা খুঁজছেন। উত্তরের মনোরম পরিবেশের টানেই পর্যটন ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।’’

গ্রীষ্মের দাবদাহে দক্ষিণবঙ্গ নাজেহাল হলেও উত্তরে মনোরম আবহাওয়া। —নিজস্ব চিত্র।

একই সুর শোনা গিয়েছে পাহাড়ের এক হোটেল মালিক জন পাল লেপচার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ করেই এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বুকিং নিতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনলাইন বুকিং বন্ধ করতে হয়েছে। তবে অফলাইন বুকিং নিতে হচ্ছে। পর্যটকেরা হোমস্টেও খুঁজছেন। কিন্তু রুমের জন্য অনুরোধ করলেও তাঁদের জায়গা দিতে পারছি না।’’

Advertisement

প্রায় দু’তিন বছর পরে রেকর্ড পর্যটক পাহাড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

তবে ব্যবসা জমে ওঠায় খুশি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম-এর আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, ‘‘দু’তিন বছর পর স্বমহিমায় পাহাড়। উত্তরের পর্যটন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক ভাবে যে রকম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তাতে বদল আসছে। প্রায় দু’তিন বছর পর রেকর্ড পর্যটক জড়ো হয়েছেন পাহাড়ে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement