প্রতীকী ছবি।
উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু করল প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তত্ত্বাবধানে এই কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনগুলি। রবিবার দিনভর বৈঠকের পর এই কাজে গতি আনা হয়েছে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় এই কাজ করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছেন, ‘‘মাইকিং ও এসএমএস মারফৎ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস স্থলভাগের কোথায় আছড়ে পড়বে তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট হলেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানোর কাজে গতি আসবে।’’ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর মনে করছে, প্রায় ৪-৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমপানের সময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৬ মে সকালে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপকূলের খুব কাছে চলে আসবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ওইদিন সন্ধেয় উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। তাই উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় নুলিয়ারা। রাখা হবে অত্যাধুনিক বোট। যা প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। কুইক রেসপন্স টিমের গাড়িও রাখা হচ্ছে। আহতদের যাতে যথা সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। কিংবা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরাতে এই গাড়িগুলি ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে ২টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই এই কন্ট্রোল রুমগুলি খোলা থাকবে। দুর্গতদের পাশাপাশি এই কন্ট্রোল রুমগুলির সঙ্গে সংযোগরক্ষা করবেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো উপকূলবর্তী জেলার প্রশাসনের কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে বিপর্যয় মোকাবিলার রূপরেখা প্রস্তুত করেছন। ফ্লাড সেন্টার-সহ বিপর্যয় মোকাবিলার যাবতীয় পরিকাঠামো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।