এক সঙ্গে: শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক পিছনেই বসে অনন্ত মহারাজ। ছবি: বিনোদ দাস।
এক পাশে, ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা অনন্ত মহারাজ, অন্য পাশে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীত থাপা। বুধবার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, বাংলা ভাগের প্রশ্ন নেই।
শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে এ দিন দুপুরে উত্তরবঙ্গের আট জেলার ক্লাব, বিভিন্ন সংগঠন, বণিকসভা এবং আমন্ত্রিতদের নিয়ে অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গ ভঙ্গে’র প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘কোনও ভাগাভাগি নয়। কোনও বঙ্গভঙ্গ নয়। আমরা চাই সঙ্গ।’’ তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘সবাই কি কিছু বুঝতে পারলেন? বঙ্গ চায় সঙ্গ। কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। আপনারা ভাল করে কাজ করুন। সুন্দর করে কাজ করুন।’’
কিছু দিন আগেই অনন্ত দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে চলেছে কোচবিহার। জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাও হয়েছে। অন্য দিকে, গত মে মাসে পাহাড়ে জিটিএ ভোটের পর প্রথম বোর্ড-সভায় অনীত থাপারা আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের ব্যাপারে আলোচনা প্রক্রিয়া চালু করার সমর্থনে প্রস্তাব পাশ করেন। সেখানে পাহাড়ের তৃণমূল নেতারাও ছিলেন। কিন্তু তেমন কিছু যে সম্ভব নয়, তা এ দিন দু’তরফের দুই নেতাকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন বলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
যদিও এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে অনন্ত প্রথমে দাবি করে বলেন, ‘‘আমরা এখনও আলাদা রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাই। মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারের বিষয় নয় সেটি। তাঁর দেওয়া, না দেওয়ার ব্যাপার নেই।’’ পরে আবার বলেন, ‘‘আমি বঙ্গভঙ্গ চাই না, চাই কোচবিহার রাজ্য পুনর্গঠন করা হোক।’’ তবে অনীতেরা নতুন করে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
অনন্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে একাধিক বার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনও দলের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উপস্থিত হয়েছি। সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এখানে রাজনীতির কথা আসে না।’’
(তথ্য সহায়তা: সৌমিত্র কুণ্ডু)