Cyclone

রাত পোহালেই তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রং, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, ঝড়ের বেগ কত হতে পারে?

কালীপুজোর দিন মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় তিনকোনা দ্বীপ ও সানদ্বীপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৪৯
Share:

মঙ্গলবার ভোরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ফাইল চিত্র।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাবে রবিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশের ভোলবদল। মেঘের চাদরে ঢাকল শহরের আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ রবিবার শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করে কালীপুজোর সকালে, অর্থাৎ সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যার নাম হবে সিত্রং।

Advertisement

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির পর তা উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর অগ্রসর হবে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে তিনকোনা দ্বীপ ও সানদ্বীপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে এই ঘূর্ণিঝড়।

এর প্রভাবে সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। সোমবার দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা, নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বইবে দমকা হাওয়া। সোমবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি। মঙ্গলবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি।

মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিমি। মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সোম ও মঙ্গলবার সুন্দরবনে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement