Anubrata Mondal

অনুব্রত নিজেই নিচ্ছেন ওষুধ আর নেবুলাইজ়ার

ইডি সেহগালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে পারে— এ খবর পাওয়ার পর থেকেই তাই অনুব্রতকে চিন্তিত দেখিয়েছে বলে জেল সূত্রের খবর।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৩
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডল উদ্বিগ্ন। সেহগাল হোসেনকে ইডি দিল্লি নিয়ে জেরা করবে, এই ভাবনায় তিনি যতটা উদ্বিগ্ন, ততটাই চিন্তিত তাঁর নিজের ওষুধ খাওয়া নিয়ে। কেন? আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে বলা হচ্ছে, এত দিন অনুব্রতের দেখভাল প্রায় সবটাই করতেন সেহগাল। সময় ধরে ওষুধ খাওয়ানো থেকে নেবুলাইজ়ার দেওয়া, সবেতেই নজর থাকত তাঁর। এ বারে তা অনুব্রতের নিজেকে করতে হবে।

Advertisement

সূত্রের খবর, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশের পরে অনুব্রত তাঁর আইনজীবীদের বলেছিলেন, ‘জেলে সেহগাল আছে। চিন্তা নেই।’ আসানসোলের জেলে অনুব্রত ও তাঁর দেহরক্ষী, গরু পাচার মামলাতেই ধৃত সেহগালের পাশাপাশি সেলে ঠাঁই হয়েছিল। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এত দিন অনুব্রতের অনেক কাজ সামলাতেন সেহগালই। তার মধ্যে ছিল দুপুরে তাঁর স্নানের ব্যবস্থা, খাবার আনায় সহযোগিতা, স্বাস্থ্যের দেখভাল। কারণ, দিনের বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩৪টি ওষুধ খেতে হয় অনুব্রতকে। রাতে ঘুমোনোর সময়ে নিতে হয় নেবুলাইজ়ার। সে সব বন্দোবস্ত সেহগালই করতেন বলে দাবি।

ইডি সেহগালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে পারে— এ খবর পাওয়ার পর থেকেই তাই অনুব্রতকে চিন্তিত দেখিয়েছে বলে জেল সূত্রের খবর। কারারক্ষীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, তিনি এ বার আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। শুক্রবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সেহগাল না কি অনুব্রতকে শরীরের খেয়াল রাখার কথা বলে যান। শুক্রবার রাতে জেলের হাসপাতাল সেলে অনুব্রত স্বাভাবিকই ছিলেন। রাতে নিজেই নেবুলাইজ়ার নেন। শনিবার সকালে প্রাতরাশের সময়ে তাঁর শরীরের অবস্থা, নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন কি না, জানতে চান জেলের কর্মীরা। অনুব্রত তাঁদের জানান, সব নিয়ম মেনেই চলছে। কোনও সমস্যা হলে জেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

Advertisement

জেল সূত্রে খবর, অনুব্রতের যা ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন, তা জেলে নিয়ে আসার অনুমতি দিয়েছিল কোর্ট। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষকে তাঁর দেখভালে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদি অনুব্রত অসুস্থ হয়ে পড়েন, চিকিৎসক ডাকা হবে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

জেলের কর্মীদের একাংশের দাবি, অন্য বন্দিদের কারও সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না অনুব্রত। সেহগাল চলে যাওয়ার পরেও বিশেষ বাক্যালাপ করেননি কারও সঙ্গে। আগামী শনিবার কত তারিখ, জানতে চেয়েছেন। ঘটনাচক্রে, সে দিন, ২৯ অক্টোবর তাঁকে কোর্টে তোলার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement