—ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। সমুদ্রে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে ইতিমধ্যেই তা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। তার অভিমুখ এখন ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলের দিকে। কিন্তু আবহবিদদের আশঙ্কা,
সোমবারই অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে আমপান। সেই সঙ্গে বাঁক নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপে। আমপানের গতিবিধি নিয়ে এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহবিদরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা ঘূর্ণিঝড় আমপান এখন ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে। তার জেরে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সোমবারের মধ্যেই আমপান আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। দিঘা থেকে তার দূরত্ব এক হাজার ১৪০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ২৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আমপান।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, সোমবার আমপান উত্তর-পূর্ব দিকে দ্রুত গতিতে এগোতে শুরু করবে। বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদদের মতে, আমপান ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে তা আগামী ২৪ ঘণ্টাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কারণ ওই সময়ের মধ্যেই মধ্যে ঝড়টি নিজের গতিপথ বদলাতে পারে। তাঁদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গল এবং বুধবার ব্যাপক বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়াতে। আমপানের লক্ষ্য সাগরদ্বীপ হলে সুন্দরবন অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের হাতিয়া-সহ সেখানকার সুন্দরবনেও আমপানের প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাগরদ্বীপ এবং সুন্দরবন এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ, প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালে ভাড়া জোগাবে রাজ্য সরকার
সমুদ্রের বুক থেকে এখন জলীয় বাস্প সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। তা ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে।আবহবিদরা মনে করছেন, রবিবার ওই ঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সোমবার থেকে তা বাড়তে শুরু করবে। ওই দিন তার গতিবেগ ১৩৫ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার সেই গতিবেগ হতে পারে ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। বুধবার আমপান স্থলভাগে প্রবেশ করলে তার গতিবেগ হতে পারে ১৬০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: ভাড়া বাড়ছে না বলে বেসরকারি বাস-মিনিবাস পথে নামার আপাতত সম্ভাবনা নেই