নির্ঘণ্ট মেনে সময় মতো বর্ষা হাজির হওয়ায় চাষের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। ছবি: পিটিআই।
আগমনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল বর্ষা। শনিবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের বেশির ভাগ জেলাতেই বর্ষা ঢুকেছিল। এ দিন রাজ্যের বাকি অংশেও বর্ষা ছড়িয়ে গিয়েছে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেশির ভাগ জেলাতেও এ দিন বর্ষা ঢুকেছে। নির্ঘণ্ট মেনে সময় মতো বর্ষা হাজির হওয়ায় চাষের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। তাঁদের মতে, মরসুমের শুরুতে ভাল বৃষ্টি হলে খারিফ শস্যের বীজতলা তৈরিতে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কেউ কেউ এ-ও বলছেন, গত কয়েক বছরে বর্ষার মতিগতি খামখেয়ালি হয়ে গিয়েছে। তাই আচমকা অতিবৃষ্টি হলে আবার সমস্যা বাড়তে পারে।
এ বছর অবশ্য গ্রীষ্মেও নাগাড়ে কালবৈশাখীর সুবাদে ভাল বৃষ্টি মিলেছে রাজ্যে। ফলে ভূগর্ভে যেমন জল ঢুকেছে তেমনই সেচের খাল, বিল, পুকুরেও জলের সঞ্চয় রয়েছে। তার উপরে বর্ষা সময়ে এসে যাওয়া সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের উপরে নির্ভরশীলতা কমবে। তবে অতিবৃষ্টির যে আশঙ্কা কেউ কেউ করছেন তা নিয়ে আবহবিদদের একাংশ বলছেন, গত কয়েক বছরে একে তো বর্ষা সময়ে আসেনি, তার উপরে জুনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও তুলনামূলক কম। ফলে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা তেমন নেই।
এমনিতেই আমপানে বহু জেলায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতরের হিসেবে, রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত হয়ে রয়েছে। কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারের কথায়, ‘‘পাম্পের সাহায্যে জমি থেকে নোনা জল বের করার কাজ চলছে। তার উপরে বৃষ্টি হলে জমিতে নুনের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জমি তৈরির কাজ সহজ হবে।’’ তবে তিনি এ-ও বলছেন, ‘‘অতিরিক্ত বৃষ্টি আবার চাষের পক্ষে তা-ও ভাল হবে না।’’ কৃষি দফতরের খবর, এমন সব জমিতে সমান্তরাল ভাবে জৈব সারের প্রয়োগ হবে। নোনা জলে চাষ হবে এমন বীজও দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। ফলে এই সবের সম্মিলিত প্রয়োগে চাষের উপযুক্ত জমি তৈরি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বর্ষা ঢুকল রাজ্যের সব জেলায়, ঝেঁপে বৃষ্টি চলবে দফায় দফায়