তৃণমূল-বিজেপিকে নেটমাধ্যমে কৌশলী আক্রমণ সিপিএমের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের ডিজিটাল টিম আবার জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের চরিত্রগুলিকে ব্যবহার করে মিম সাজিয়ে বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণের কৌশল সাজিয়েছে। যা রবিবার নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। মোট ১৪টি ছবি ব্যবহার করে এই মিমগুলি তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মির্জাপুর যখন বাংলায়’।অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির কালিনের চরিত্রকে হাতিয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া দুর্নীতির মধ্যমণি লেডি কালিন ভাইয়া।’ সিপিএমের এক ডিজিটাল টিমের সদস্যের কথায়, ‘‘মির্জাপুর ওয়েব সিরিজে পঙ্কজের চরিত্রটি দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র বোঝতে চেয়েছি।’’
মিমগুলিতে যেমন নিশানা করা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের, তেমনই আক্রমণ শানানো হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। ওয়েব সিরিজ মির্জাপুরে সত্যানন্দ ত্রিপাঠীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কূলভূষণ খারবান্দা। তাঁর ছবি ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘দিল্লির সেটিংবাজ ‘বাবুজি’। কারও বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে সিপিএমের এমন মিমে নিশানা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। অভিনেতা শুভ্রজ্যোতি ভরত ছোট্ট একটি চরিত্রে রতি শঙ্করের চরিত্রেঅভিনয় করেছিলেন। তাঁর ছবির নীচে লেখা হয়েছে, ‘দলবদল করে সাধু সাজতে চাওয়া ক্যামেরার সামনে ঘুষ খাওয়া বিরোধী দলনেতা’। এ ক্ষেত্রে সিপিএমের ইঙ্গিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। ভরত ত্যাগীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা বিজয় বর্মা। তাঁকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তুলনা করে লেখা হয়েছে, ‘দার্জিলিঙে চা খেয়ে উপরাষ্ট্রপতি ভোটের সেটিং করা পাশের রাজ্যের নেতা।’
তৃণমূল নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে। মির্জাপুর সিরিজে মকবুলের চরিত্রে অভিনয় করা সিয়াজি চৌধুরীর ছবি ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমানে অনুগত মুখপত্র কিন্তু আসলে জেলফেরত আসামী’। অভিনেতা প্রমোদ পাঠক অভিনয় করেছিলেন নেতা জে পি যাদবের চরিত্রে। তাঁকে ঘুষখোর নেতা হিসেবে তুলে ধরে ইঙ্গিত করা হয়েছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে।
আবার সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যকে একটি মিমে সৎ নির্ভীক উকিল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এমন কটাক্ষ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভাতে ওরা আগেই শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর ওঁদের কোনও কাজ নেই, এসব মিমের ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ার ভেসে থাকতে চাইছেন।’’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিপিএম! আছে নাকি? মানুষ ওদের ভুলে গিয়েছে।’’