—প্রতীকী ছবি।
পুলিশ-প্রশাসন আপত্তি তুললেও আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানেই দলের যুব সংগঠনের সমাবেশ হবে বলে জানিয়ে দিল সিপিএম। সকলের জন্য কর্মসংস্থান এবং রাজ্যে শিল্পায়নের দাবিতে এখন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’ চলছে। দু’মাসের ওই পদযাত্রা শেষে ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে ৭ জানুয়ারি। কিন্তু ব্রিগেডে গেরুয়া সংগঠনের গীতা পাঠের আসরে অনুমতি গিলেও কাজের দাবিতে যুব সমাবেশে পুলিশ-প্রশাসন আপত্তি তুলছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য সিপিএমকে কটাক্ষ করেছে।
সিপিএম সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বুধবার আলোচনা হয়েছে, ব্রিগেডে ঘোষিত সমাবেশ থেকে কোনও ভাবেই পিছিয়ে আসা হবে না। পরে আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন যুব নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘তিন মাস আগেই যুবরা অনুমতি নিয়ে রেখেছিল। সব রকম প্রশাসনিক কাগজ তারা জমা দিয়েছে। এখন কলকাতা পুলিশকে দিয়ে বলানো হচ্ছে যে, ওই দিন মাঠ দেওয়া যাবে না। নবান্নের ইঙ্গিতে নতুন করে আপত্তি তোলা হচ্ছে।’’ সেলিম মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর ধর্মতলায় পুলিশ যুবদের ‘ইনসাফ সমাবেশ’ করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু আপত্তি উড়িয়ে ধর্মতলার রাস্তাতেই সমাবেশ হয়েছিল। তাঁর ঘোষণা, এ বারও ব্রিগেডেই সমাবেশ হবে।
ব্রিগেডেই ২৪ ডিসেম্বর গীতা পাঠের সভা হওয়ার কথা। সেই প্রসঙ্গ তুলে সেলিমের বক্তব্য, ‘‘ব্রিগেডের ঐতিহ্য হলো সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ-বিরোধী সমাবেশের। সেখানে ধর্মীয় সভার অনুমতি দেওয়া হবে আর কাজের দাবিতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমাবেশের অনুমতি বাতিল করা চলতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রথমে অন্য বামপন্থী দলগুলি এবং তার পরে কংগ্রেস, আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে দ্রুত আলোচনার রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে সিপিএম।
সিপিএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘ব্রিগেডে যাওয়ার কী দরকার? ওঁদের সভা তো শ্রদ্ধানন্দ পার্কের মাঠেই হয়ে যাবে! সেখানকার জন্যই আবেদন করতে পারেন। তা ছাড়া, যাঁরা সভায় যাবেন, তাঁরা তো বিজেপিকে ভোট দেবেন। তাই সিপিএমের লাভ কী?’’