‘ডিজ়িটাল সামিট’ আয়োজন করছে রাজ্য সিপিএম। প্রতীকী ছবি।
সাবেক পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজ়িটাল প্রচারে এখন হাত পাকিয়ছে সব রাজনৈতিক দলই। সেই আঙ্গিকেই আরও শান দিতে এ বার ‘ডিজ়িটাল সামিট’ আয়োজন করছে রাজ্য সিপিএম। রাজারহাটের রবীন্দ্র তীর্থে কাল, শনিবার ওই ডিজ়িটাল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার কথা ২২টি জেলা থেকে দু’শোর বেশি প্রতিনিধির। সমাজ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপকে আরও কার্যকরী ভাবে ব্যবহার করার কৌশল সম্পর্কে ওই সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের প্রক্ষিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সিপিএম। থাকবে আলোচনা সভাও। বাইরের কোনও সংস্থার সহায়তা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়েই এমন সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে।
সমাজ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে জনমানসে প্রভাব তৈরির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। তাদের তথ্যপ্রযুক্তি শাখা চলে পুরোপুরি পেশাদারি কায়দায়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘ডিজ়িটাল প্রচার এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি এবং তৃণমূল শ’য়ে শ’য়ে কোটি টাকা দিয়ে সংস্থা ডেকে এনে ডিজ়িটাল প্রচার করতে পারে। আমাদের অত পয়সা নেই কোম্পানি ডাকার মতো। কিন্তু অনেক কর্মী আছেন, যাঁরা যোগ্যতায় কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবকের মতো এই কাজটা করে দিচ্ছেন। তার বাইরে ভাল বিষয়টা বোঝেন, এমন কিছু মানুষকেও যুক্ত করা হচ্ছে।’’ মাঠে-ময়দানের লড়াইয়ের সঙ্গে ‘ভার্চুয়াল’ জগৎকে মেলানোর লক্ষ্যে এই সম্মেলন উপলক্ষে সিপিএমের স্লোগান হয়েছে, ‘হেঁটেও আছি, নেটেও আছি’।
রাস্তার আন্দোলন, কর্মসূচিও অবশ্য অব্যাহত। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে সংহতি জানাতে কলকাতায় সিপিএম মিছিলের ডাক দিয়েছে আগামী সোমবার। হাওড়ায় ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আসার কথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। পুলিশ এখনও সমাবশের অনুমতি দেননি। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, ‘‘সে দিন আমরা সমাবেশ করব। যে রাজ্য সরকার এত গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা কী করে, দেখা যাক!’’
সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির সদ্যসমাপ্ত বৈঠকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় প্রশান্ত শূরের আমলে প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজের পরিচালন সমিতিতে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে টালিগঞ্জের গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেহালার পার্থ দাস, এই দুই নেতাকে ৬ মাসের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গড়া রাজ্য দলের তদন্ত কমিশন যা সুপারিশ করেছিল, তা-ই অনুমোদন করেছে রাজ্য কমিটি।