CPIM

CPIM: স্বাধীনতার ৭৫-এ জাতীয় পতাকা নিচ্ছে সিপিএম

বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাত্র, যুব-সহ সিপিএমের বিভিন্ন গণসংগঠন স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচি পালন করে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:১৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে ওই দিনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম! এ বার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিপিএমের দলীয় দফতরে দেখা যাবে জাতীয় পতাকাও।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাত্র, যুব-সহ সিপিএমের বিভিন্ন গণসংগঠন স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচি পালন করে আসছে। দল এবং বামফ্রন্টও ১৫ অগস্ট মানব বন্ধনের মতো কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার বার্তা দেয়। কিন্তু সেই ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’ স্লোগানের জেরে কমিউনিস্ট পার্টির গায়ে লেগে থাকা ‘স্বাধীনতা-বিরোধী’র তকমা এখনও পুরোপুরি ওঠেনি। বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার সেই প্রসঙ্গ তুলে বামেদের পাল্টা আক্রমণও করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটেই এ বার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠিক হয়েছে, ৭৫তম বর্যপূর্তি থেকেই দলীয় উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কমিউনিস্টদেরও যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল, সেই ইতিহাসের প্রচারও হবে এই উপলক্ষে।

প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রথম দিকে স্বাধীনতা দিবসে নিজের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি। নানা বিতর্ক, আলোচনার জেরে ১৯৮৯ সাল থেকে মহাকরণের সামনে তিনি জাতীয় পতাকা তুলতে শুরু করেন। ঘটনাচক্রে, দলের কর্মসূচি হিসেবে ওই দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ল শেষ পর্যন্ত বঙ্গ সিপিএম থেকে ওঠা প্রস্তাবের হাত ধরেই!

Advertisement

দীর্ঘ কালের ‘ভ্রান্ত ধারণা’ কাটাতে দলের যে প্রথাগত ভাবে স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচি নেওয়া উচিত, রাজ্য স্তরে সেই দাবি তুলেছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। ছাত্র সংগঠন করার সময়ে ১৫ অগস্টে কর্মসূচি নেওয়া এবং দেশের ইতিহাস সংক্রান্ত প্রচার চালু করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল। রাজ্যে আলোচনার পরে তিনি ওই প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কেন্দ্রীয় কমিটির এ বারের বৈঠকে নিজের বক্তৃতাতেও সুজনবাবু স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তার পরে পলিটবুরোয় শনিবার রাতে আলোচনা সেরে রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির জবাবি বক্তৃতায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে দলের সব দফতরে দিনটি উদযাপন করা হবে। কর্মসূচি থাকবে এক বছর ধরে।

সিপিএমের এক পলিটবুরো সদস্যের কথায়, ‘‘স্বাধীনতা যে ভাবে এবং যে পরিস্থিতিতে এসেছিল, তাতে প্রকৃত সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল কি না, সে সব নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটা আলাদা বিতর্ক। কিন্তু তাই বলে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকে কমিউনিস্টদের স্বাধীনতার পাঠ নিতে হবে না! স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সংবিধান, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় কমিউনিস্টদের যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল, সেই ইতিহাস আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’’ আগামী বছর এপ্রিলে পার্টি কংগ্রেস পর্যন্ত সিপিএমের সম্মেলন প্রক্রিয়া চলবে। দলীয় সূত্রের খবর, ১৫ অগস্টের পরে আবার সম্মেলন-পর্ব শেষে এই সংক্রান্ত প্রচারে নজর দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement