ছবি: সংগৃহীত।
এনআরসি, এনপিআর এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন যেমন চলছে, চলবে। কিন্তু সেই নাগরিক আন্দোলন মূলত শহরকেন্দ্রিক। তারই পাশাপাশি এ বার রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় বিষয়ে পাঁচ হাজার সভা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামছে সিপিএম। গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষ যাতে দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হন, সেই ভাবেই কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে দলের রাজ্য কমিটির তরফে।
আলিমুদ্দিনে দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বুধবার জবাবি বক্তৃতায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দলের জন্য গ্রামাঞ্চলে পাঁচ হাজার সভার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। তাঁর আহ্বান, নাম কা ওয়াস্তে সভা করলে হবে না। স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এমন ভাবে কর্মসূচি করতে হবে, যাতে পঞ্চায়েত প্রধানেরা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য হন বা দফতর ছেড়ে ‘পালিয়ে’ যান! গ্রামীণ এলাকায় সংগঠনকে চাঙ্গা রাখার লক্ষ্যেই এমন কর্মসূচি। জেলায় জেলায় এনআরসি-বিরোধী আন্দোলন বন্ধ না রেখেই স্থানীয় স্তরে ওই কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
রাজ্যে আগামী ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারির জন্য তিন দফা কর্মসূচিও ঠিক হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। নেতাজির জন্মদিবস পালন হবে ২৩ তারিখ। প্রজাতন্ত্র দিবসে ২৬ তারিখ মানববন্ধনের পাশাপাশি সংবিধান রক্ষার ডাক দিয়ে সভা-মিছিল হবে। আর গাঁধীজির মৃত্যুদিনে ৩০ তারিখ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দিয়ে পথে নামা হবে। সে দিন কলকাতায় কেন্দ্রীয় মিছিল যাবে বেলেঘাটার গাঁধী ভবন পর্যন্ত। এর মধ্যে ২৬ ও ৩০ তারিখ বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৭ দল কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই পথে নামবে। অন্যান্য সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনকেও আহ্বান জানাচ্ছেন সূর্যবাবুরা। একই ভাবে কংগ্রেস এবং অন্য দল ও সংগঠনের সঙ্গে জোট করে আগামী পুরভোটে লড়াই করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে রাজ্য কমিটির বৈঠকে। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ভোট সার্বিক জোট গড়ে একত্র করতে চায় সিপিএম।
আরও পড়ুন: গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ দেবশ্রীকে
প্রদেশ কংগ্রেসও দলীয় স্তরে ২৩, ২৬ ও ৩০ তারিখের জন্য কর্মসূচি নিয়েছে। ‘নেতাজি ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ শীর্ষক আলোচনা বিধান ভবনে হবে ২৩ তারিখ। প্রজাতন্ত্র দিবসে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করে কলকাতার সভা হবে বৌবাজারে। আর ৩০ তারিখ শিয়ালদহ থেকে কংগ্রেসের মিছিল গাঁধী ভবনে শেষ হয়ে বামেদের সঙ্গে যৌথ সভা হবে।