পার্টি অফিস নিয়ে গোলমাল। — ফাইল চিত্র।
মে দিবসের দিন সকালে একটি পার্টি অফিসকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হল কাশীপুর এলাকা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সোমবার সকালে মে দিবস উপলক্ষ্যে সিপিএমের মহিলা নেত্রী কনীনিকা ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল করে দখল হয়ে যাওয়া একটি পার্টি অফিস উদ্ধারে যান সিপিএম কর্মীরা। সিপিএমের অভিযোগ, সেভেন ট্যাঙ্ক এলাকায় থাকা ওই পার্টি অফিসটি ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দখল করে নেয় তৃণমূল।
সেই পার্টি অফিসটি দখলমুক্ত করতে গেলেই পাল্টা আসরে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা পার্টি অফিসের সামনে থাকা সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেই তর্কাতর্কি হাতাহাতিতে পৌঁছয়। পার্টি অফিস উদ্ধার কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বহিষ্কৃত নেতা দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁকে এখনও দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত না হলেও, কর্মীদের সঙ্গে পার্টি অফিস উদ্ধারে এসেছিলেন তিনিও। হাতাহাতির ঘটনায় তাঁর হাত ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের কর্মীরাই হামলা চালিয়ে তাঁদের কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছেন।
সিপিএম এই হামলায় অভিযোগ তুলেছে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকেলে কাশীপুর এলাকায় এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে সিপিএম।
তবে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু দাবি করেছেন, তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করতে এসেই প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় সিপিএম। তিনি বলেন, ‘‘দুলাল ব্যানার্জি আবারও মহম্মদ সেলিমের হাত ধরে সিপিএমে ফিরতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যেই দলের কাছে নিজের নম্বর বাড়াতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছিল দুলাল ও তাঁর বাহিনী। কিন্তু সিপিএম জেনে রাখুক, সিঁথিতে আর দুলালবাহিনীর পুরনো দিন ফেরানো যাবে না।’’