—ফাইল চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা ঘিরে অভিযোগ এবং জটিলতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল বামেরা। তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার চিঠি দিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
চিঠিতে সুজনবাবু লিখেছেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তা রাজ্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করছে। মেধা ও যোগ্যতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। কোনও ভাবে এবং কোনও স্তরেই শিক্ষিত যোগ্য প্রার্থীদের যাতে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির শিকার হতে না হয়, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের সকলের’।
সুজনবাবু এ দিন জানান, উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা নিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি অভিযোগপত্র কমিশনে জমা পড়েছে। অ্যাকাডেমিক নম্বর যাঁদের কম, তাঁদের ইন্টারভিউয়ে নম্বর বেড়েছে। যাঁদের অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি, তাঁদের ইন্টারভিউয়ে কম নম্বর হয়েছে। কয়েক জনের ক্ষেত্রে এমন হতেই পারে। কিন্তু এতসংখ্যক প্রার্থীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা সন্দেহজনক বলেই সুজনবাবুর বক্তব্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, অ্যাকাডেমিক নম্বরের সঙ্গে ইন্টারভিউয়ের সম্পর্ক নেই। ইন্টারভিউ যে যেমন দিয়েছেন, তেমনই নম্বর পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ নেই, এমন কোনও প্রার্থীকে প্যানেলে রাখারও সম্ভাবনা নেই। তবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত যা অভিযোগ জমা হবে, সবই খতিয়ে দেখা হবে বলে চেয়ারম্যানের আশ্বাস।