কোভিডের সময়ে মোদীজি এবং মমতা যখন ‘ফেল’, রাজ্যের মানুষ যখন অসহায়, সেই সময়ে ভরসা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ভলান্টিয়ার্স। তাঁদের সেলাম জানাই। এই মনোভাব নিয়েই তাঁরা কাজ করুন। আমাদের যতটা সম্ভব তাঁদের পাশে থাকাটাই কর্তব্য।’’
ফাইল চিত্র।
করোনা-কালে রেড ভলান্টিয়ার্স বাহিনীর কাজ নজর কেড়েছিল। বিপন্ন মানুষের কাছে গিয়ে ওযুধ, অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি করানো বা আক্রান্ত পরিবারের জন্য খাবার পৌঁছনো— নানা ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মূলত সিপিএমের ছাত্র ও যুব কর্মীরা। তাঁদেরই পোশাকি নাম হয়েছিল রেড ভলান্টিয়ার্স। তাঁদের ওই কাজকে উৎসাহ দিতে এ বার ‘রেড ভলান্টিয়ার্স ডে’ পালন করল সিপিএম।
কলকাতায় গত মাসে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিপুল প্রতিকূলতার মধ্যে রাজ্য জুড়ে যে রেড ভলান্টিয়ার্সেরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাম সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার দায়িত্ব দলকে নিতে হবে। রাজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট বলেছিলেন, কেরলেও ছাত্র-যুবেরা কোভিড পরিস্থিতিতে ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁদের পিছনে সে রাজ্যের বাম সরকার ছিল। কোনও রকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়াই বাংলায় রেড ভলান্টিয়ার্স যে কাজ করেছে, তা ‘অভিবাদনযোগ্য’। দলে তরুণ রক্ত আমদানি করে সিপিএম যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময় রেড ভলান্টিয়ার্সের কাজকে সামনে রাখার কথা হয়েছিল রাজ্য সম্মেলনে। তার প্রেক্ষিতেই ‘রেড ভলান্টিয়ার্স ডে’ পালনের সিদ্ধান্ত। ঘটনাচক্রে, এ দিনটি ছিল লেনিনের ১৫৩তম জন্মদিবস।
‘রেড ভলান্টিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে এ দিন যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে গানে-আড্ডায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রেড ভলান্টিয়ার্সকে উৎসাহ দিতে সেখানে ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অতীতের কিছু উদাহরণ দিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সঙ্কটের সময়ে এই মনোভাব নিয়েই বামপন্থীরা কাজ করে থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘সারা পশ্চিমবঙ্গে মানুষের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য হয়েছে রেড ভলান্টিয়ার্স, এটা সবাই বুঝতে পারছে। অতীতেও বিপদের সময়ে মানুষের পাশে থেকেছে বামপন্থীরা। কোভিডের সময়ে মোদীজি এবং মমতা যখন ‘ফেল’, রাজ্যের মানুষ যখন অসহায়, সেই সময়ে ভরসা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ভলান্টিয়ার্স। তাঁদের সেলাম জানাই। এই মনোভাব নিয়েই তাঁরা কাজ করুন। আমাদের যতটা সম্ভব তাঁদের পাশে থাকাটাই কর্তব্য।’’