Anik Dutta

Bikash Ranjan Bhattacharyay: রাগ কমাতে জানেন, তাই অনীক দত্তকে নিয়ে ফের সাংবাদিক বৈঠকে রাজি বিকাশ

অনীক মেজাজ হারানোর পর তাঁর হাত থেকে মাইক নিয়ে বিকাশ সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক সেখানেই ভন্ডুল হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ০৯:০৮
Share:

পরিচালক অনীক দত্ত এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

অনীক দত্তকে নিয়ে আবার সাংবাদিক বৈঠক করতে চান সিপিএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানা কথা’য় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিশিষ্টদের সাংবাদিক বৈঠকে চিত্র পরিচালকের মেজাজ হারানো নিয়ে। তারই জবাবে বিকাশ বলেন, ‘‘হস্টাইল ক্রাউড নিয়ন্ত্রণের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। ’’

Advertisement

গত ৩০ জুলাই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন বাম ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টরা। সেখানে বিকাশের পাশাপাশি হাজির ছিলেন অনীক দত্ত-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্রের সাংবাদিকের করা ‘অনিলায়ন’ সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারান অনীক। প্রেস ক্লাবে বসে ওই সাংবাদিককে রীতিমতো ধমকে দেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘চোপ! একদম চুপ করে থাকুন।’’ তাঁর হাত থেকে মাইক সরিয়ে সেই মাইকেই বিকাশ উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। যদিও এর পর ভন্ডুল হয়ে যায় সেই সাংবাদিক বৈঠক। একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্রের সাংবাদিক ছাড়া বাকি সকলেই বেরিয়ে যান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই প্রসঙ্গের কথা তুলে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিকাশকে। তিনি বলেন, ‘‘অনীকবাবু হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর উত্তেজনা প্রশমন করতে হল। সেটা খুব অসুবিধার নয়।’’ আগামী দিনে আবার কোনও সাংবাদিক বৈঠকে প্রয়োজন হলে তিনি আবারও অনীকের পাশে বসবেন বলেও জানান বিকাশ। বলেন, ‘‘তিনি রেগেমেগে গিয়েছেন, ভুল করেছেন। কিন্তু তাঁর তো সাংবাদিক সম্মেলন করার মতো যোগ্যতা, শিক্ষা, বুদ্ধি আছে।’’ তাঁর নিজের এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে বলেও জানান বিকাশ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার জীবনে এ রকম ‘হস্টাইল ক্রাউড’ (উত্তেজিত জনতা) নিয়ন্ত্রণ করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। অনীক দত্ত রেগে গিয়েছিলেন তাঁর একটা নির্দিষ্ট বক্তব্যের উপর দাঁড়িয়ে। তাঁকে ঠান্ডা করা যায়। তিনি তো বুদ্ধিমান মানুষ। দ্রুত রেগে গেলে, ঠান্ডাও হয়ে যান তাড়াতাড়ি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement