অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল

বাম এজেন্টকে মার, নানুরে আক্রান্ত স্ত্রীও

২৪ ঘণ্টা আগেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। এ বার এক সিপিএম এজেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বোলপুর থানার ইটণ্ডা গ্রামের ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় বছর পঞ্চান্নর ওই এজেন্ট দেবীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্ত্রী আরতিদেবীকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৬ ০২:২৫
Share:

বোলপুর হাসপাতালে জখম আরতিদেবী। শনিবারের নিজস্ব চিত্র।

২৪ ঘণ্টা আগেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। এ বার এক সিপিএম এজেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বোলপুর থানার ইটণ্ডা গ্রামের ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় বছর পঞ্চান্নর ওই এজেন্ট দেবীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্ত্রী আরতিদেবীকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে দেবীপদবাবুকে এবং পরে তাঁর স্ত্রীকেও শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। হাতে, পায়ে ও মাথায় গভীর চোট লেগেছে দেবীপদবাবুর। খবর পেয়ে সদ্য জয়ী নানুরের সিপিএম বিধায়ক শ্যামলী প্রধান আক্রান্তদের বোলপুর হাসপাতালে দেখা করতে যান। ওই ঘটনায় বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। তদন্ত শুরু করলেও ওই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। যদিও মারধরের ওই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নন বলেই দাবি তৃণমূলের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দেবীপদবাবু এ বারের বিধানসভায় শ্যামলীদেবীর এজেন্টের কাজ করেছিলেন। অভিযোগ, জেলায় একমাত্র ওই কেন্দ্রেই সিপিএম জেতায় ফুঁসছিলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই আক্রোশেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দেবীপদবাবুর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে তাঁকে এবং স্ত্রীকে মারধর করে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ দিন সকালে দেবীপদবাবুর পুত্রবধূ বৈশাখীদেবী বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১১টা হয়ে গিয়েছিল। বাবার খোঁজে বাড়ির দরজায় কেউ কড়া নাড়েন। দরজা খুলতেই রে রে করে ৩০-৪০ জন মুখে কাপড় বেঁধে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ‘সিপিএম করছিস, এজেন্ট হয়েছিস’ বলে শাসানি দিতে শুরু করে। তার পরেই লাঠি, রড দিয়ে শুরু হয় মারধর। মা আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন।’’ আরতিদেবীর হাতে ভোজালির কোপ পড়ে। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে দেবীপদবাবুরল পরিবারের সদস্যেরা চিৎকার শুরু করতেই আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসে। তাঁদের দেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। বৈশাখীদেবীর অভিযোগ, সিপিএমের এজেন্ট হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের এই হামলা।

Advertisement

এ দিকে, দলের এজেন্ট এবং তাঁর পরিবার আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়ে এ দিনই সকালে হাসপাতালে ছুটে যান নানুরের সিপিএম বিধায়ক শ্যামলী প্রধান। পরে তিনিও অভিযোগ করেন, “তৃণমূল নেত্রী আগেই বলেছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবেন। আর ওদের জেলা সভাপতি ‘চড়াম চড়াম’ ঢাক বাজানোর নিদান দিয়েছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের উস্কানিতেই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো নানুরেও আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’’

সিপিএমের তোলা অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের নেতারা। নানুরের সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরার পাল্টা দাবি, ‘‘ইটণ্ডার ঘটনা পুরনো সিপিএমের সঙ্গে নতুন সিপিএমের সঙ্ঘাতের কারণে হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোন ভাবেই যুক্ত নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement