—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ইংল্যান্ডে রয়েছেন। এর মধ্যেই রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়েছে। সে কারণেই বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য সম্পাদকমণ্ডলীর ছ’জন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারের সিতাইয়ের জন্য জীবেশ সরকার, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের জন্য জি আলম, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির জন্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, হাড়োয়ার জন্য পলাশ দাস, মেদিনীপুর বিধানসভার জন্য সুজন চক্রবর্তী এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরার জন্য অমিয় পাত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোট ঘোষণা হলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি— কোনও পক্ষই প্রার্থী ঘোষণা করেনি। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, তৃণমূল এবং বিজেপির প্রস্তুতি রয়েছে, তারা যে কোনও মুহূর্তে প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে। কিন্তু বামেরা পড়েছে জটিলতায়। কারণ, ২০২১ সালে এই ছ’টি কেন্দ্রের মধ্যে সিতাইয়ে লড়েছিল কংগ্রেস, মাদারিহাটে লড়েছিল আরএসপি। হাড়োয়ায় লড়েছিল আইএসএফ। এর মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণে অনেক বদল হয়েছে। লোকসভা ভোটের সময়েই ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে আলিমুদ্দিনের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। অন্য দিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন শুভঙ্কর সরকার। এই পরিস্থিতিতে বামেরা কাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে, নাকি করবে না, তা নিয়ে সিপিএমের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, সিতাইতে তারা লড়বে। কংগ্রেস এখনও উপনির্বাচনের ব্যাপারে নীরব। এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেছেন চেয়ারম্যান বিমান বসু।
লোকসভার সময়ে কংগ্রেস বা অন্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করতেন সেলিম। তিনি দেশে না থাকায় এই কাজ কে করবেন তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া সিপিআইএমএল লিবারেশনের সঙ্গেও কথা বলে এগোতে চায় আলিমুদ্দিন। কংগ্রেস সমঝোতা না করলেও যাতে বৃহত্তর বাম জোট হয় তার চেষ্টা জারি রাখতে চাইছেন সেলিম। এখন দেখার কোন কৌশলে ভোটে যায় সিপিএম তথা বামেরা।