ফাইল ছবি
দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এলে রাজ্যেও কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোয় নজর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড মোকাবিলায় আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আগে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নবান্নও। প্রয়োজনে যাতে দ্রুত কোভিড রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া যায়, তার জন্য প্রতি জেলায় একাধিক অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। শুধু জেলা হাসপাতাল নয়, রাজ্যের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকাতেও অক্সিজেন যোগানে অসুবিধা হবে না বলে দাবি করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তী।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড সংক্রমণের ভরকেন্দ্র কলকাতা থেকে সরে গিয়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং-সহ বেশ কিছু জেলায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে সব এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা কম ছিল, তৃতীয় ঢেউয়ে সেই সব জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সম্ভবনা বেশি। এর জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, ক্যানিং, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, কোচবিহার, দার্জিলিঙের দুর্গম জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড রোগীদের শ্বাসকষ্ট ছিল বেশি। সেই সময় দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে কোভিড রোগীর অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগ ওঠে। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা বললেন,‘‘আমাদের রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু অক্সিজেনের সাময়িক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে রাজ্যের দুর্গম এলাকাতেও অক্সিজেনের ঘাটতি এড়াতে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যে।’’ শুধু জেলার সদর হাসপাতালেই নয়, প্রত্যেক জেলায় একাধিক অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করছে রাজ্য। রাজ্যে ১৩টিরও বেশি এলএমও বা লিক্যুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। ১১৫ টিরও বেশি প্রেশার স্যুইং অ্যাডসর্পশন বা পিএসএ অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ চলছে।পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার জন্য পাঁচ হাজার অক্সিজেন কন্সেনট্রেটর থাকবে বলেও জানান তিনি।