পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ চার মাস পরে ফের দৈনিক টিকাদানের সংখ্যা চার লক্ষের ঘর পার করল। সোমবার রাতে কোউইন পোর্টালের পরিসংখ্যান, টিকা প্রাপকের সংখ্যা চার লক্ষ পঁচিশ হাজার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ৫ এপ্রিল দৈনিক টিকা প্রাপকের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার লক্ষ।
স্বাস্থ্য শিবিরের আধিকারিকেরা তখন দাবি করেছিলেন, টিকার জোগান ঠিকঠাক থাকলে দৈনিক চার লক্ষের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো প্রস্তুত আছে। কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রের তরফে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ না-করার অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টিকার জোগান কম থাকায় শেষ পর্যন্ত বকেয়া দ্বিতীয় ডোজ়ের উপরে জোর দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। নানা টালবাহানার পরে কোভিশিল্ডের ঘাটতি মিটলেও বঙ্গের ভাঁড়ারে কোভ্যাক্সিন ছিল না বললেই চলে। কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় কয়েক দিন কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
প্রতিষেধকের জোগানে ঘাটতির সময়েও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি ছিল, প্রতিদিন দশ হাজার কেন্দ্র থেকে অন্তত ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে রাজ্যের। অর্থাৎ দৈনিক ২০ লক্ষ ডোজ় টিকা দিতে সক্ষম রাজ্য। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, টিকা কোথায়? সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে টিকার জোগানের বিষয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, এ দিন সকালের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের ভাঁড়ারে প্রায় ১৫ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড এবং প্রায় ১০ লক্ষ ডোজ় কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টিকা ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জোগান ঠিক থাকলে দৈনিক কয়েক লক্ষ টিকা দিতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু জোগান ঠিক থাকবে তো? প্রশ্ন সেটাই।’’