গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
দৈনিক আক্রান্ত কমলেও রাজ্যে বাড়ল সংক্রমণের হার। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার রাজ্যে ৫৭৫ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু অন্য দিনের তুলনায় করোনার পরীক্ষা অনেকটাই কমেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ২১৫ জনের। ফলে বেড়েছে সংক্রমণের হার। শেষ পাঁচ দিন সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নীচে চলে এসেছিল, সোমবার তা পৌঁছে গিয়েছে ২.১১ শতাংশে।
জেলা ভিত্তিক সংক্রমণের হিসাব দেখলে দেখা যাবে, এখনও উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। সোমবার প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, এই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ জন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি, মূলত দার্জিলিংকে পিছনে ফেলে, সংক্রমণের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে কলকাতা, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন।
উত্তরবঙ্গের সংক্রমণের বিচারে এখনও তালিকার শীর্ষে রয়েছে দার্জিলিং। সেখানে নতুন করে ৪৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ারে ১১, কোচবিহারে ৩৬, কালিংপঙে ১১, জলপাইগুড়িতে ২২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
জুলাই মাসের শেষ দু’দিন করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০-এর নীচে নেমে এলেও রবিবার থেকে ফের তা বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এর মধ্যে নদিয়া জেলায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’জন করে মোট চার জনের। এ ছাড়া কালিংপঙ, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা, এই পাঁচ জেলায় এক জন করে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারের পর রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসে হয়েছে ১০ হাজার ৮০৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণের তার আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় অনেকটাই কমেছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ লক্ষাধিক টিকা দেওয়ার পর শেষ ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটাই কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০৬।