করোনার মতো অতিমারির সঙ্কটকালে সিউড়ি শহরের প্রিয়নীল-হাসানদের উদ্যোগকে সাধুবাদ দিচ্ছেন অনেকেই। —নিজস্ব চিত্র।
কোভিড রোগীদের প্রয়োজনে নিরন্তর ছুটে চলেছেন বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরের এক ঝাঁক যুবক-যুবতী। ওষুধ থেকে শুরু করে কোভিড রোগীর জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন— সবই জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তাঁদের প্রচেষ্টায় জেরে সাময়িক ভাবে হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন সিউড়ির বহু রোগীর পরিবার।
করোনার মতো অতিমারির সঙ্কটকালে সিউড়ি শহরের প্রিয়নীল পাল, কৌশিক দে বা হাসানদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিচ্ছেন অনেকেই। প্রিয়নীলরা নিজেদের সংস্থার নাম রেছেছেন ‘উপহার’। কোভিড রোগীদের সহযোগিতায় রয়েছে ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন নম্বর। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসাবে নাম নথিভুক্ত না করলেও কার্যত ব্যক্তিগত উদ্যোগেই চলছে সংস্থা।
রোগীদের যাঁর যা প্রয়োজন, সাধ্যমতো দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন ইন্দ্রনীলরা। প্রিয়নীলরা জানালেন, সম্প্রতি শহরের দু’জন কোভিড রোগীর জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। হন্যে হয়ে খুঁজেও তা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই ‘উপহার’-এর দ্বারস্থ হন এক রোগীর পরিবারের সদস্যরা। প্রিয়নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে কথা বলতেই শুরু হয় ইঞ্জেকশনের খোঁজ। প্রিয়নীল বলেন, “বৃষ্টির মধ্যেই সেই আমাদের সংস্থার ভলান্টিয়ার কৌশিক এবং হাসান বেরিয়ে পড়ে ইঞ্জেকশন খুঁজতে। বেশ কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পরে ওই বিশেষ ইঞ্জেকশনের কিছু ডোজ পাওয়া যায়। বাকি ডোজের খোঁজ চলছে। তবে আপাতত যে ক’টা ডোজ পাওয়া গিয়েছে, তা দিয়েই রোগীর প্রয়োজন মিটবে।”
প্রিয়নীলদের এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সিউড়ির বহু চিকিৎসক। সিউড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জিষ্ণু ভট্টাচার্য ওই রোগীর চিকিৎসা করছেন। তিনি বলেন, “এই ইঞ্জেকশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রবিবারের মধ্যেই এটা দিতে না পারলে বড়সড় বিপদ হতে পারত। ওই যুবকদের এ কাজকে কুর্নিশ জানাই।”