মঙ্গলবার কলেজের পরিকাঠামো পরিদর্শনে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক-সহ প্রশাসনের কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপাড়ায় ২০ শয্যার সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তরপাড়ায় রাজা প্যারীমোহন কলেজে ওই সেফ হোম চালু হবে। জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে উত্তরপাড়ার নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের উদ্যোগ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার হাসপাতালগুলিতে চাপ কমাতে সেফ হোম খোলার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কোভিডের মৃদু উপসর্গ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ওই হোমে রাখা হবে। সে জন্য তারকেশ্বর এবং নবগ্রামে আগেই ১টি করে সেফ হোম খোলা হয়েছে। এ বার উত্তরপাড়ায়। সেখানে সেফ হোম চালুর আগে মঙ্গলবার কলেজের পরিকাঠামো দেখতে যান বিধায়ক কাঞ্চন-সহ শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক সম্রাট চক্রবর্তী, পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন বলেন, “নবগ্রামে একটি সেফ হোম খোলা হয়েছে। এ বার খুব শীঘ্রই উত্তরপাড়ায় আর একটি সেফ হোম খোলা হবে। আরও অনেক কাজ বাকি।”
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সেফ হোমে সব সময়ের জন্য চিকিৎসক-নার্স থাকবেন। এ ছাড়া অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্সে করে স্থানীয় মহামায়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবার হুগলির তারকেশ্বরেও চালু হয়েছে সেফ হোম। বেশ কয়েক দিন আগেই তারকেশ্বরের ভীমপুর এলাকায় সরকারি আবাসন ‘পথের সাথী’ ভবনকে সেফ হোম হিসাবে প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু কর্মীর অভাবে তা চালু করা যায়নি। অবশেষে কর্মী নিয়োগ করে তা চালু করা হল।
মঙ্গলবার ৩০ শয্যার ওই সেফ হোমের উদ্বোধন করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহুয়া মহান্তি, ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিক তাপসকুমার দাস এবং তারেকেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। পরে মহুয়া বলেন, “কোভিড প্রটোকল মেনে এই সেফ হোম প্রস্তুত করা হয়েছে। অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে কোভিড হাসপাতালে রেফার করা হবে।”