ফাইল চিত্র।
করোনায় সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের জন্য প্রতিষেধকের একটি ডোজ়ই যথেষ্ট! ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফর ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনই দাবি করা হল। বিজ্ঞানীদের দাবি, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ়টি নেওয়ার আগে যাঁরা করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন, অন্য এক-ডোজ় প্রাপকদের তুলনায় তাঁদের শরীরে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, একটি ডোজ় নেওয়ার পরে সংক্রমিতদের শরীরে তৈরি হয়েছে মেমরি টি সেল।।
এর সূত্রেই গবেষকেরা দাবি করেছেন, সংক্রমিত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের প্রতিষেধকের একটা ডোজ় নেওয়ার পরেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি ও মেমোরি টি সেল তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে দেশে প্রতিষেধকের চাহিদা অনেকটাই কমবে। কারণ, বহু মানুষকেই করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রত্যেক সংক্রমিতের শরীরে সমপরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না, এমনকি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও সমান নয় সকলের ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে এই তত্ত্বটি কতটা কার্যকর হবে, সেই প্রশ্ন থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমেছে দৈনিক সংক্রমণ।
কোভিশিল্ডের পরে নোভাভ্যাক্স সংস্থার করোনা প্রতিষেধকও তৈরি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষেধক সংস্থাটি জানিয়েছে ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই টিকা তৈরি করবে তারা। আমেরিকা ও মেক্সিকোর ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এই প্রতিষধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে, মৃদু ও গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে নোভাভ্যাক্সের টিকা ১০০% কার্যকরী। তবে খুবই গুরুতর বা আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা ৯১%।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ১ এপ্রিলের পরে আজ সংক্রমণ সবচেয়ে কম (৭০,৪২১)। সংক্রমণ হার আজও পাঁচ শতাংশের নীচে (৪.৭১%)। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, করোনার শুরু থেকে ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার তুলনায় গত ছ’সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষের। দেশের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষের। অন্য দিকে পরের দু’মাসে (এপ্রিল-জুন) সংখ্যাটা প্রায় ২ লক্ষ।