ছবি: এএফপি।
পশ্চিমবঙ্গে নার্স-সঙ্কটের পিছনে মণিপুর সরকারের কোনও ভূমিকা নেই বলে জানালেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। ফেসবুক পেজে একটি ভিডিয়ো-বার্তায় বীরেন জানান, ভিন্ রাজ্যে কর্মরত নার্সদের ফিরে আসার জন্য তাঁর সরকার কোনও ‘অ্যাডভাইসরি’ বা নির্দেশিকা দেয়নি। ভিন্ রাজ্যে করোনা-যুদ্ধে শামিল মণিপুরি চিকিৎসক-নার্সদের জন্য তিনি গর্বিত। তবে একই সঙ্গে ভিডিয়ো-বার্তায় বীরেন বলেন, ‘‘নার্স, চিকিৎসকেরা যদি স্বচ্ছন্দ না-হন, আমি ভিন্ রাজ্যে তাঁদের কাজ করতে বাধ্য করাতে পারি না। এটা পুরোপুরি তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্ত।’’
গত কয়েক দিনে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ভিন্ রাজ্যের অন্তত ৩৫০ জন নার্স বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের ‘ট্রানজিট পাশের’ ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারই করেছে। মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা-সহ ভিন্ রাজ্যের এত নার্স একসঙ্গে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ায় করোনা-আবহে রোগীদের সুষ্ঠু পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। মুশকিল আসানে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের দ্বারস্থ হয় বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভিডিয়ো-বার্তা পোস্ট করেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আরও দুই করোনা পজ়িটিভ, ফেসবুকে ঘোষণা মহুয়ার
‘অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে এ দিন জানানো হয়েছে, মণিপুর সরকার যে-হেতু একসঙ্গে এত নার্সের ট্রানজিট পাশের ব্যবস্থা করেছে, তাই প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল, ওই রাজ্যের সরকার নার্সদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে। পরে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিধায়কদের মাধ্যমে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রানজিট পাশের ব্যবস্থা করেছেন এ রাজ্যে কর্মরত মণিপুরের নার্সেরা। এই কঠিন সময়ে রোগীদের যাতে সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য মণিপুর-সহ বিভিন্ন রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রূপক বড়ুয়া।