গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্যে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই কমল। একটানা পাঁচ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৭০০-র উপরে থাকার পর তা ৫০০-র ঘরে নেমেছে। সেই সঙ্গে চলতি মাসে এই প্রথম কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নীচে নামল। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ফের আক্রান্ত শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃতের সংখ্যাও নিম্নমুখী হয়েছে। দৈনিক টিকাকরণ এবং কোভিড পরীক্ষাও অনেকটা কমেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের দৈনিক হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৬ জন। চলতি মাসের গোড়া থেকে করোনার দৈনিক সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। চলতি মাসে একমাত্র ৬ সেপ্টেম্বরের বুলেটিন অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, সেপ্টেম্বরের অন্যান্য দিনে দৈনিক সংক্রমণ কখনও ৭০০-র কাছাকাছি, কখনও বা সাড়ে ৭০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ১০৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে কলকাতায় ৯৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলির মধ্যে নদিয়ায় ৪৬, দার্জিলিং এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও ৩১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি, সব জেলাতেই কমবেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪১৪ জনের কোভিড ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯৬।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সংক্রমণের দৈনিক হার বেড়ে হয়েছে ২.৭৮ শতাংশ। ওই সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫০টি।
কোভিড পরীক্ষার মতোই দৈনিক টিকাকরণের পরিসংখ্যানও নিম্নমুখী হয়েছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪১১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে নদিয়া এবং কলকাতায় ৩ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ২, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৮৭ জন মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।