ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কারণে মৃত ছ’জনই কলকাতার বাসিন্দা। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী সরাসরি করোনায় রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১৬৬। আর কো-মর্বিডিটিতে মৃত ৭২ জনকে ধরলে রাজ্যে করোনা পজ়িটিভ মোট মৃতের সংখ্যা ২৩৮।
শনিবার এক দিনে ৭৭৪৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এ দিন বুলেটিনের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে আট হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যের মোট ২২টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে।
বঙ্গে এ দিন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০১ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা হল ২৬৭৭। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮০। এক দিনে আরও ৯৫৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ায় সুস্থতার হার ৩৪.৬৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫.৮২ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা। ১০১ জনের মধ্যে শুধু মহানগরে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এই নিয়ে মহানগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩১১।
আরও পড়ুন: করোনার ভয়ে জন্ডিসে ওঝা ভরসা
আরও পড়ুন: অতিপ্রবল হয়ে বাংলাকেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়
সারা রাজ্যে সরাসরি করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৬৬, কলকাতায় ১০৮। এ দিন নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে হাওড়ার ১৮, উত্তর ২৪ পরগনার ১৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চার, দুই দিনাজপুরের তিন জন করে মোট ছ’জন, মুর্শিদাবাদের চার এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলির এক জন করে বাসিন্দা আছেন। বুলেটিন বলছে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার ছাড়া রাজ্যের সব জেলাতেই হানা দিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস।
করোনা-রোগীর চিকিৎসায় স্বাস্থ্য দফতরের তত্ত্বাবধানে ‘প্লাজ়মা থেরাপি’ সফল করতে এগিয়ে এলেন রাজ্যের দ্বিতীয় আক্রান্ত এবং তাঁর বাবাও। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, হাবড়ার তরুণীর পাশাপাশি মোট ১০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণ, তাঁর বাবা এবং হাবড়ার তরুণী ছাড়া আরও পাঁচ জন কোভিড-রোগী সুস্থ হওয়ার পরে প্লাজ়মা দিতে রাজি হয়েছেন। দু’জনের সম্মতি মেলেনি।
‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ জানিয়েছিল, বুধবার থেকে প্লাজ়মা সংগ্রহ শুরু করতে পারে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। আজ, সোমবার দাতাদের স্ক্রিনিং-টেস্টিং শুরু হবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান বিশ্বনাথ শর্মা সরকার জানান, সংগৃহীত প্লাজ়মা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। ২০ মে চার জনের প্লাজ়মা সংগ্রহ করার কথা। দু’সপ্তাহের মধ্যে গ্রহীতাদের শরীরে তা প্রয়োগের পরিকল্পনা আছে।