ছবি: সংগৃহীত।
বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা খরচ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নবান্ন। পরিকল্পনা দফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্য সরকার ব্যয় সঙ্কোচ নীতি নিয়েছে। তার ফলে রাজ্য চালানোর সমস্ত খরচ কমাতে হচ্ছে। সেই ধারা মেনেই বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা খরচও পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
পরিকল্পনা দফতরের যুগ্ম-সচিব পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জেলাশাসকদের জানিয়েছেন, এই কোটার ব্যয় না হওয়া সব টাকা আর খরচ করা যাবে না। প্রকল্পগুলি যে অবস্থাতে রয়েছে, এখন সেই অবস্থাতেই থাকবে।
পরিকল্পনা দফতর সূত্রের খবর, এখন বিধায়কেরা প্রতি বছর তাঁদের বিধানসভা এলাকা উন্নয়নের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা করে পান। বিধায়কেরা তাঁদের পছন্দ মতো প্রকল্পে সেই টাকা খরচ করার জন্য জেলাশাসকদের বা পুর কমিশনারদের অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: মমতা-ধনখড় কথা, আপাতত সঙ্ঘর্ষে ইতি, তবে পার্থর জন্য ‘ক্ষতস্থান’ খোঁচা
আরও পড়ুন: হোম কোয়রান্টিনে জ্বর, হাসপাতালে ভর্তি করা হল দমকল মন্ত্রীকে
জানা যাচ্ছে, বছরের শুরুতে ৩০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে সরকার। তার ৩০% অর্থাৎ ৯ লক্ষ টাকার কাজের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট চলে এলে বাকি টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হয়। গত পাঁচ বছরে প্রত্যেক বিধায়কের এই খাতে তিন কোটি টাকা পাওয়ার কথা। তার মধ্যে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা করে তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন। ৭২ লাখ টাকার খরচের হিসাব দিয়েই বাকি টাকা পেয়েছেন বিধায়কেরা। সেই টাকা জেলায় রয়েছে। ফলে ২৯৪ জন বিধায়কের প্রায় ১০০ কোটি টাকা জেলাগুলিতে পড়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে অবশ্য কোনও বরাদ্দ এখনও হয়নি। করোনা, আমপানের পর বিধায়কেরা ভোটের বছরে আর টাকা পাবেন কি না তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে সংশয় চরমে।