ছবি— পিটিআই।
কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ তো করলেনই। সেই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের আশপাশের এলাকাও ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল। প্রচুর ছবি তুলল। কথা বলল স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।
কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা, হাসপাতাল ও নিভৃতবাস কেন্দ্র ঘুরে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে একাধিক চিঠি দিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের নেতা অপূর্ব চন্দ্র। নবান্নের খবর, মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার তার উত্তর দিয়ে তাঁকে ই-মেল করেছেন।
সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা দক্ষিণ কলকাতায় বিএসএফের অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যান। পরে পাশের এলাকায় ঘুরে কথা বলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও যান তাঁরা। সম্প্রতি করোনা-আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্তা হয়ে মারা গিয়েছেন ওই হাসপাতালেই। কেন্দ্রীয় দল সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে রোগী ও আত্মীয়দের প্রশ্ন করে।
বারাসতের কাছে কদম্বগাছির কোভিড হাসপাতালেও কিছু রোগী ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ওখানে ৪২ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। কেন্দ্রীয় দল আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখে। কদম্বগাছি থেকে প্রতিনিধিরা বাদু রোড ধরে মধ্যমগ্রাম হয়ে বিরাটি ও নিমতায় যান। মূল রাস্তা ছাড়াও অশ্বিনীপল্লি, চড়কডাঙার মতো এলাকার ছোট রাস্তার পাশে খোলা দোকান, বাজারে জমায়েত এবং লকডাউন পরিস্থিতির ছবিও তোলেন। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে তাঁরা যান নিমতার শিবাচল ও জহরপল্লিতে। সেখানকার দুই বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)