প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ এবং রাজ্য প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দুর্গাপুজো, কালীপুজো বা ছটের মতো উৎসবগুলির পরে সংক্রমণের হার তেমন বাড়েনি। তাই এ বার শীতের মরসুমে বড়দিন এবং বছর শেষের উৎসবের আগে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বড়দিনে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা করবেন মানুষ। ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে মেলা করায় ছাড়পত্রও দিয়েছে রাজ্য সরকার। বছর শেষের ক্রিসমাস কার্নিভালও অনুষ্ঠিত হবে। পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বিধি মেনেই। খাবারের স্টলগুলি তৈরির ক্ষেত্রেও দূরত্ববিধি মানা হবে। কিন্তু অন্যান্য বছরের মতো জনসমাগম কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তথ্য সংস্কৃতি এবং পর্যটন দফতর সমন্বয় করে রূপরেখা তৈরি করবে। কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বিধি অনুযায়ী, বদ্ধ জায়গায় অর্ধেক বা সর্বাধিক ২০০ জনের জমায়েতে ছাড় দেওয়া রয়েছে। খোলা জায়গায় এমন কোনও সীমা নেই। তবে উভয় জায়গায় কঠোর ভাবে দূরত্ববিধি পালনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এক-একটি উৎসবের আগে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করে বিধি স্থির করা হয়েছিল। এ বারও তা করা হবে। ’’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, গরমের মরসুমে সংক্রমণের চরিত্র শীতের সময় বদলে যেতে পারে। তাই বড়দিন বা বছরশেষের উৎসবের সময় ঠান্ডা আবহাওয়া সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। বক্ষ রোগের চিকিৎসক রাজা ধরের কথায়, “শীতে ভাইরাস বেশি সক্রিয় হয়। বাড়ে দূষণ। ফলে ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার উপরে কোভিড হলে ফল মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সংক্রমণ কমলে ভাবারও কারণ নেই যে, কোভিড দেশ থেকে দূর হচ্ছে।” সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ দেবকিশোর গুপ্ত বলেন, “সুরক্ষা বিধিগুলি মেনে চলতে হবে। কারণ, আগের উৎসবগুলিতে তাতে কাজ হয়েছে। মনে রাখতে হবে, আগের উৎসবগুলিতে শীত আসেনি। তাই সংক্রমণ রোখার প্রশ্নে সতর্ক থাকতে হবে। শীতের সময় জ্বর-জালা হলে বিভ্রান্তিও ছড়াতে পারে। সে দিকটাও নজরে রাখা বিশেষ প্রয়োজন।”