গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
জুনের পর এই প্রথম রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার সবচেয়ে কমল। পাশাপাশি, গত কয়েক দিনের মতো রবিবারও দৈনিক সুস্থতার হার বেড়েছে। দিন কয়েক ধরেই ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি। রবিবারও সেই প্রবণতা বজায় থেকেছে। সেই সঙ্গে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০০ নীচে নেমেছে।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার ৪.৯২ শতাংশ। গত ২৪ জুন এই হার ছিল ৪.৬৯ শতাংশে। তার পর থেকে ক্রমশ তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ওই দিনের পর রবিবার তা সবচেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ২৪৩টি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১ হাজার ৯৭৮টি। ফলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও আগের থেকে কমেছে। শনিবার ২ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, স্বীকার করল ব্রিটেন
আরও পড়ুন: টিকার প্রথম ডোজে অ্যালার্জি হলে দ্বিতীয় টিকা না নেওয়ার পরামর্শ আমেরিকায়
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আক্রান্তের তুলনায় রবিবার সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি। তাদের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬২৭ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।যদিও সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই সেরে উঠেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৬৭৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৭১। এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা কমার পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রবিবার তা রয়েছে ৯৪.৯৫ শতাংশে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
সংক্রমণ তথা সুস্থতার পরিসংখ্যান খানিকটা স্বস্তি দিলেও উদ্বেগ বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায়। রবিবার রাজ্য জুড়ে ৪০ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে কলকাতায় ৫ এবং নদিয়াতে ৪ জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়াতে ৩ জন করে এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলিতে ১ জন করে মারা গিয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
রাজ্যের মধ্যে কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (৪৬৮)। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা (৪২৭), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১১৩) এবং নদিয়া (১০৩)-তে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ বা তার বেশি হয়েছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)