এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রায় ৭ মাস পর বুধবার রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যু নেমে গেল একক সংখ্যায়। সেই সঙ্গে এ দিন বাড়ল সুস্থতার হার। কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। সব মিলিয়ে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর করোনা সংক্রমণের ছবিটা এই প্রথম বেশ উজ্জ্বল। যা স্বস্তি জোগাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। তবে মঙ্গলবারের তুলনায় এ দিন কোভিড টেস্টের সংখ্যা কিছুটা কমতেই সংক্রমণের হার বেড়েছে। ফলে তা নিয়ে সামান্য হলেও শঙ্কার মেঘ রইলই।
রাজ্যে গত ১২ জুন করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। কিন্তু ১৩ জুন থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃত্যু আটকে ছিল দু’টি সংখ্যার গণ্ডিতেই। প্রায় ৭ মাস পর, বুধবার দৈনিক মৃত্যু পৌঁছল একক সংখ্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। জলপাইগুড়ি, নদিয়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১০ হাজার ৮০ জন। তবে দীর্ঘ দিন পর মৃতের সংখ্যা নেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ৪০৯ জন। যার জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৮২ জন।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাগামের মধ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমণের চেহারাটাও স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠেছে। বুধবার রাজ্যে এক মাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই শতাধিক ব্যক্তি নতুন করে আক্রান্ত। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩১ জন নতুন সংক্রমিত। তা ছাড়া আর কোনও জেলাতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ পেরোয়নি।
মঙ্গলবার রাজ্যে কোভিড টেস্ট হয়েছিল ৩০ হাজার ৩৪ টি। বুধবার তা হয়েছে ২৭ হাজারের সামান্য বেশি। টেস্ট কমতেই সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। প্রতি দিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে যত জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তার শতকরা হারকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বুধবার তা হয়েছে ১.৫১ শতাংশ।
রাজ্যে সুস্থতার হার রোজই ধাপে ধাপে বাড়ছে। সোমবারই তা প্রথম ৯৭ শতাংশ স্পর্শ করেছিল। বুধবার তা আরও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৯৭.০৪ শতাংশ। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০৯ জন। যার জেরে রাজ্যে করোনা থেকে সেরে ওঠার সংখ্যা এখন পৌঁছে গেল ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭২৭-এ। রাজ্যে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭৫ জন, যা মঙ্গলবারের তুলনায় ১০৬ জন কম।