গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নেমে গেল সোমবার। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় এক ধাক্কায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজারের নীচে নেমে গেল। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচশোর আশপাশেই রয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণের হারও কমল সোমবার। কমল সক্রিয়া রোগীর সংখ্যা। দৈনিক মৃত্যু নামল ৩৫-এর নীচে।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৮৫ জন। কলকাতায় নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৮৭৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৮৬৩। রবিবারই হাওড়া ও হুগলি দৈনিক আক্রান্ত হাজারের নীচে নেমেছিল। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও নামল হাজারের নীচে। ওই তিন জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৪৭৯ জন, ৫৫২ জন এবং ৪০৩ জন।
দুই বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, বাকুড়া ও পুরুলিয়ায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কমল। তবে বীরভূমে এখনও দৈনিক আক্রান্ত ৫০০-র উপরেই রয়েছে। নদিয়া সংক্রমিত ৪৭০।
উত্তরবঙ্গেও সংক্রমণ কমল রবিবারের তুলনায়। মূলত মালদহ ও দার্জিলিঙের পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল বিশেষজ্ঞদের। সোমবার ওই দুই জেলাতেও অনেকটাই কমল দৈনিক আক্রান্ত। মালদহে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩০ জন ও দার্জিলিঙে ১৭৩ জন। তবে কোচবিহারে বেড়ে পৌঁছে গেল দেড়শোর কাছাকাছি।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন ও উত্তর ২৪ পরগনায় ১১ জন। সোমবার সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৪ জন। ১৮ দিন পর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমল বাংলায়।
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও কমে হল ২৬.৪৩ শতাংশ। কলকাতায় সংক্রমণের হার এক ধাক্কায় নেমে হল ৩০.৭৫ শতাংশ। তবে বীরভূম এবং মালদহে সংক্রমণের হার এখনও ৩৫ শতাংশের বেশি। আর যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের উপর, তার মধ্যে রয়েছে — নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর দিনাজপুর। এরই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষাও অনেক কমেছে রাজ্য জুড়ে। ১৩ দিন পর আবার তা নামল ৪০ হাজারের নীচে।