গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সোমবার রাজ্যে সামান্য কমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার আবার নতুন সংক্রমণ ১১ হাজার ছাড়াল রাজ্যে। তবে সংক্রমণের হার নিম্নগামী। গত সপ্তাহে শুক্রবার থেকেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ২০ শতাংশের নীচে নামার বুধবার রাজ্যে আরও কিছুটা কমল সংক্রমণের হার। কলকাতাতেও সংক্রমণের হার নিম্নগামী। তবে জেলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক। সংক্রমণের হারে মহানগরীকে ছাপিয়ে গেল নয় জেলা। বুধবার দৈনিক মৃত্যু আবার বাড়ল রাজ্যে। কোভিডের এই সাম্প্রতিক স্ফীতির পর্বে এ দিন সব চেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হল কলকাতায়।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৭ জন। কলকাতায় আক্রান্ত ২ হাজার ১৫৪ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় সামান্য বেড়়ে হল ১ হাজার ৭৯৮। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে ৫০০ ছাড়াল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাজারের দোরগোড়াতেই রয়েছে।
এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানে আবার সাড়ে পাঁচশো ছাড়িয়ে গেল দৈনিক আক্রান্ত। নদিয়া ও বীরভূমে এক লাফে সংক্রমণ বেড়ে সাতশোর কাছে পৌঁছে গেল। মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়া বাড়ল। তবে কমল বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙ ও জলপাইগুড়িতে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে সাড়ে চারশোর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দেড়শো ছাড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়লেও কমেছে উত্তর দিনাজপুরে। মালদহতেও অনেকাই কমল নতুন সংক্রমণ।
বুধবার রাজ্যে সংক্রমণের হার দাঁড়াল ১৬.৯৮ শতাংশ। কলকাতায় সংক্রমণের হার কমে হল ২১.৬৭ শতাংশ। যে নয় জেলায় সংক্রমণের হার কলকাতার চেয়ে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে— বীরভূম, দার্জিলিং, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, মালদহ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া ও উত্তর দিনাজপুর। এই জেলাগুলির মধ্যে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানে সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের বেশি।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গিয়েছেন ১৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৮ জন। বুধবার সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৮ জন। কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজার ৪০৪ জনের। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০২।