গ্রাফিক: নিরুপম পাল।
ভোটের মরসুমে বাড়তে বাড়তে এ রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ হল। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন করোনাকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৫১১ জন। সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হারও একলাফে পৌঁছেছে ১২.১৫ শতাংশে। গত কয়েক মাসের তুলনায় ১ দিনে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ১৪। কলকাতাতেও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা এ যাবৎ সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১১৫ হয়েছে। তবে দৈনিক সংক্রমণ এবং তার হার বাড়লেও ১ দিনে টিকাকরণের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষেরও অনেক নীচে (৯০ হাজার ৯৯০)।
২২ অক্টোবরের বুলেটিনে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ১৫৭ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান সে নজিরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ৩৭ হাজারের বেশি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দৈনিক সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ দাঁড়িয়েছে ১২.১৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ বলা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০৭। এর মধ্যে সংক্রিয় রোগীর ক্রমশই বেড়ে সাড়ে ২৬ হাজারেরও বেশি হয়েছে।
কলকাতার মতোই উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণের গণ্ডি ১ হাজার পার করে হয়েছে ১,০৮৭। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৯৫), হুগলি (২৯০), হাওড়া (২৮৬) এবং পশ্চিম বর্ধমান (২৫২) জেলায় দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছে।
রাজ্য জুড়ে যে ১৪ জনের মৃত্যুু হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার ৪, নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার ৩ জন করে বাসিন্দা রয়েছেন। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন মারা গিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে ১০ হাজার ৪১৪ জন মারা গিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।