প্রতীকী ছবি।
করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি আগের প্রজাতির থেকে অনেক বেশি সংক্রামক, জানালেন এমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর আশঙ্কা, দিল্লিতে নতুন করে যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাতে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এই প্রজাতির। গুলেরিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নতুন প্রজাতিতে করোনা রোগী আগের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন। আগে একজন আক্রান্তের শরীর থেকে ৩০-৪০ শতাংশ নতুন আক্রান্তের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হত। এখন সেই শতাংশের হিসাব পৌঁছে গিয়েছে ৮০-৯০ শতাংশে। অর্থাৎ, নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। যে পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগের।’’
করোনার যে প্রজাতিগুলি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, তার মধ্যে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতিগুলি উল্লেখযোগ্য। দিল্লিতে ইতিমধ্যে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি খুঁজেও পাওয়া গিয়েছে। ব্রিটেনের প্রজাতি সব থেকে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে পঞ্জাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দিল্লিতে সংক্রমণের অত্যধিক বৃদ্ধির পিছনেও ব্রিটেনের প্রজাতির হাত রয়েছে।
এমসের অধির্কতা মনে করছেন, করোনার প্রজাতি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে, কারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। প্রথম বার যখন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুষ সতর্ক ছিলেন। লকডাউনের ফলে বড় জমায়েতও হচ্ছিল না। কিন্তু ইদানীং নিয়ম মানার বালাই নেই মানুষের। নিয়মিত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মানুষ সতর্ক হচ্ছেন না। অত্যধিক সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে এটিও একটি কারণ। এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়। অনেক হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা কমে আসছে, আইসিইউ-তে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই কারণেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে প্রতিদিনই।