—প্রতীকী ছবি।
ফের শহরে আসছে কোভ্যাক্সিন। আজ, বুধবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় আসবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ওই প্রতিষেধক। গত ২২ জানুয়ারি কোভ্যাক্সিনের ১ লক্ষ ১৩ হাজার ডোজ় এসেছিল শহরে। আজ কোভ্যাক্সিনের ১৬,৪৭২ ভায়াল আসবে। প্রতি ভায়ালে ২০ ডোজ়। অর্থাৎ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৪০ ডোজ়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আজ থেকে রাজ্যে কোভিশিল্ডের পাশাপাশি কোভ্যাকসিনও দেওয়া শুরু হবে। কলকাতার তিনটি মেডিক্যাল কলেজ—এসএসকেএম, আরজিকর ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২০ জন করে মোট ৬০ জন গ্রাহককে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হল ৬০ জনই যাতে কোভ্যাক্সিন নেন, সেদিকে নজর রাখা। তাতে অন্যদের কাছেও বার্তা পাঠানো সম্ভব হবে ওই প্রতিষেধক নিলে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’ মঙ্গলবার বাগবাজার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর থেকে উত্তরবঙ্গেও কোভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে এখনই সেটি দেওয়া শুরু হচ্ছে না। এ দিন রাজ্যের ৪৪৬টি কেন্দ্রে ২১,৭৭৮ জন কোভিশিল্ড প্রতিষেধক নিয়েছেন। ১১ জনের মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল, তবে তাঁরা সকলেই সুস্থ, বাড়িতেই রয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এত দিন গ্রাহক মেসেজের মাধ্যমে প্রতিষেধক কেন্দ্রের নাম ও সময় আগাম জানতে পারতেন। আগামী দিনে ওই মেসেজেই কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাক্সিন কোনটা দেওয়া হচ্ছে, তা উল্লেখ থাকবে। কিন্তু কোনও গ্রাহক কোভ্যাকসিন নিতে রাজি না-হলে তাঁর কোভিশিল্ড নেওয়ার সুযোগ থাকছে কি না, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘কাউকেই জোর করা হবে না কোভ্যাক্সিন নিতে। তবে কেউ যাতে আপত্তি না-করেন, সে জন্য আগাম সকলকেই বোঝানো হবে।’’
এ দিন দ্বিতীয় দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ পুরকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশ এবং অন্যান্যদের কোভিশিল্ড প্রতিষেধক দেওয়া শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কো-উইন অ্যাপ বিভ্রাটে নাম নথিভুক্ত না-করতে পেরে বহু জায়গাতেই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করা যায়নি। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ারের আংশিক, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরে অফলাইনেই দ্বিতীয় দফায় থাকা গ্রাহকদের নাম নথিভুক্ত করে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, ‘‘ওই পাঁচটি জেলা মিলিয়ে ৫০০ জন মতো প্রতিষেধক পেয়েছেন। তবে দিল্লির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিষয়টি জানানোর পরে তাঁরা মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে সব নাম নথিভুক্ত করার জন্য বলেছেন।’’
তবে সরকারি ভাবে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করে আজ বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফার প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের প্রতিষেধক দেওয়া সর্বত্র শুরু করা হবে কি না, সেটি রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।