naihati

Boro ma kali: ‘বড় মা’ কালীর আদলে ফোটোশ্যুট নিয়ে বিতর্ক, প্রচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ চিত্র সম্পাদক

ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন শোভাঙ্গিনী। তিনি প্রথমে তালিকা দিয়েছেন কাজের, অর্থাৎ ছবিটির চূড়ান্ত রূপ দিতে ঠিক কী কী করতে হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র

বিতর্ক তৈরি হল নৈহাটির ‘বড় মা’ কালীর রূপে হওয়া ভাইরাল ফোটোশ্যুট নিয়ে। প্রাপ্য কৃতিত্ব পাননি, কোথাও তাঁর নাম নেওয়া হয়নি, এমন দাবি তুলে সরব হলেন চিত্রসম্পাদক শোভাঙ্গিনী শেখর। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, কাজের পর কোথাও তাঁর নাম করেননি রূপটান শিল্পী মুক্তি রায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখেও তাঁকে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শোভাঙ্গিনী। যদিও মুক্তির দাবি, তাঁদের পেশায় চিত্র সম্পাদকের নাম আলাদা করে উল্লেখ করা হয় না।

Advertisement

নৈহাটির ‘বড় মা’ কালীর আদলে ফোটোশ্যুটের ছবি কয়েক দিন আগেই ভাইরাল হয়। ছবির মডেল ছিলেন রিখিয়া রায়চৌধুরী, রূপটান শিল্পী ছিলেন মুক্তি রায়। সেই নিয়ে খবর প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার অনলাইনে। নেটমাধ্যমে এই বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

ফেসবুক পোস্টে দীর্ঘ একটি অভিযোগ করেছেন শোভাঙ্গিনী। তিনি প্রথমে তালিকা দিয়েছেন কাজের। অর্থাৎ ছবিটির চূড়ান্ত রূপ দিতে ঠিক কী কী করতে হয়েছে তাঁকে। শোভাঙ্গিনী জানিয়েছেন, এই ছবি নিয়ে ৯ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। ২৫টি ধাপ উল্লেখ করেছেন তিনি, যেগুলি তাঁকে পেরোতে হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রথমেই বলে নিয়েছিলাম, এ বারের ছবিতে এডিটিংয়ের জন্য আমার নাম যেন সর্বত্র উল্লেখ করা হয়। আমার কিছু পোষ্য বিড়াল আছে। সেগুলির চিকিৎসার জন্য অনেকটা টাকা দরকার, তাই কাজও প্রয়োজন। নাম উল্লেখ করলে আমার সুবিধা হয়।’ সেই প্রশ্নের উত্তরে মুক্তি কিছু জানাননি বলেই জানিয়েছেন শোভাঙ্গিনী। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন, টানা অনেকটা সময় কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। শারীরিক কষ্ট ভুলে তিনি কাজ শেষ করেছিলেন। তার পর ছবিটি যখন পোস্ট হয়, তখন ইনস্টাগ্রামে শুধু ‘বিশেষ ধন্যবাদ’-এর তালিকায় তাঁর নাম ছিল। আর ফেসবুক পোস্টে নাম উল্লেখ করেননি মুক্তি। তাতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। সে কথাও জানানও। পোস্ট করে ঘটনার কথা জানানোর বিষয়েও বলেন। শোভাঙ্গিনীর দাবি, তার পরেই হঠাৎ করে কাজের পারিশ্রমিক পান তিনি। একই সঙ্গে বকেয়া পারিশ্রমিকও দেওয়া হয় তাঁকে। পাশাপাশি চিত্রগ্রাহক অমিতের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই নিয়ে পোস্ট করলে ভবিষ্যতে কাজ পাব না বলেছিলেন উনি।’’

Advertisement

এই ঘটনা নিয়ে রূপটান শিল্পী মুক্তি রায় বলেছেন, ‘‘আমি জানি না উনি কেন এই কথা এখন বলছেন। সাধারণত যাঁরা ছবি সম্পাদনা করেন, তাঁদের নাম আমরা দিই না। আর এর আগে ওঁর সঙ্গে অনেক কাজ আমি করেছি। তখন তো এক বারও নিজের নাম উল্লেখ করতে তিনি বলেননি। আজ তা হলে কেন নাম উল্লেখ করতে বলা হচ্ছে? ছবিটা ভাইরাল হয়েছে বলে? আর নাম উল্লেখ করার বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়নি শোভাঙ্গিনীর। তার পরেও আমি কয়েকটি জায়গায় ওর নাম করেছি। এ কথাও বলেছিলাম, পরে নিজের মতো করে ছবিটি প্রকাশ করতে পারতেন শোভাঙ্গিনী। নিজের নাম দিয়ে, কাজের প্রমাণ হিসাবে প্রকাশ করতে পারতেন। আমি সেই অধিকারও দিয়েছিলাম। যদি সত্যি কাজের দরকার ছিল ওঁর, তা হলে আলাদা করে নিজের কাজ হিসাবে এটা প্রকাশ করলেই তো হত। আর আমি বসে থেকে পুরো সম্পাদনার কাজ করিয়েছিলাম। সেখানে সম্পাদক হিসাবে ওঁর তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না। সম্পাদনার কাজেও আমারে ১২ ঘণ্টা খাটতে হয়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে মডেল রিখিয়া রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘শ্যুটের দিন যা যা হয়েছিল, সেটুকুই শুধু দেখেছি। আমি এক জন পেশাদার মডেল। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই। ওঁদের দু’জনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কিছু বক্তব্য নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement