Alapan Bandyopadhyay

Alapan Bandyopadhyay: হুমকি চিঠি-কাণ্ডে আলাপনের পাশে নরেন্দ্রপুরের প্রাক্তন সহপাঠীরা, বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সই সংগ্রহ

হুমকি-চিঠিটি স্পিড পোস্টের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোড ডাকঘর থেকে পাঠানো হয়েছিল। এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানতে তদন্ত চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ১৭:১১
Share:

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে পাশে দাঁড়ালেন তাঁর সহপাঠীরা। ফাইল চিত্র

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি-কাণ্ডে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন আলাপনের প্রাক্তন স্কুল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সহপাঠীরা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের একাধিক প্রাক্তনী তাঁদের প্রাক্তন সহপাঠীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। শুরু হয়েছে সই সংগ্রহও।
এ ভাবে নিজেদের স্কুলের কোনও এক প্রাক্তন সহপাঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সই সংগ্রহের উদ্যোগ সাম্প্রতিক কালে অভিনব এবং বিরল। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন নরেন্দ্রপুরের বহু কৃতী ছাত্র, তেমনই রয়েছেন আপাতদৃষ্টিতে ‘সাধারণ’ ছাত্ররাও। সকলকেই একসূত্রে বেঁধে দিয়েছে প্রাক্তন সহপাঠীর জীবনের জন্য আশঙ্কা এবং উদ্বেগ। আলাপনের ‘কঠিন’ সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের ওই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় সহপাঠী শ্রী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা এই ঘৃণ্য কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদও করছি। ব্যক্তিগত ভাবে এবং সামাজিক ভাবে বর্তমানে খারাপ সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন আলাপন। আমরা যারা তাঁর স্কুলের বন্ধু, তাঁরা সর্বদা পাশে রয়েছি। গত কয়েক মাসে তাঁর ভাই (তিনিও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী), ভাগ্নে এবং মা’কে হারিয়েছেন। এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত। অতিমারি তাঁর উপর ভয়াবহ ছাপ ফেলেছে।’

আরও পড়ুন:

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার একটি হুমকি-চিঠি পান আলাপনের স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না।’ চিঠির নীচে প্রেরক হিসেবে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের দু’জনের নাম ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হুমকি-চিঠিটি স্পিড পোস্টের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোড ডাকঘর থেকে পাঠানো হয়েছিল। এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানতে তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা ওই বিষয়ে তদন্ত করছেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। তার মধ্যেই উদ্বিগ্ন প্রাক্তন সহপাঠীদের তরফে এই সামাজিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement