প্রতীকী ছবি।
সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বাংলাদেশের কুস্টিয়া থেকে বিশ্বভারতীর কলা ভবনে পড়তে আসা আফসারা অনিকা মিমকে। আচার্য নরেন্দ্র মোদী, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বিদেশ মন্ত্রক এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে তাঁর বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিশ্বভারতী শাখা। বুধবার একটি নোটিস ওই ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাতে ‘ভিসার শর্ত ভেঙে সরকার-বিরোধিতা’ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন কলকাতার ফরেনার্স রিজিয়োনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস ১৫ দিনের মধ্যে মিমকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের দাবি, ‘‘কোনও দলের সদস্য হয়ে তাদের কর্মসূচিতে যোগ না-দেওয়া পর্যন্ত ভিসার শর্তভঙ্গ হয় না। আরএসএসের চাপে বিদেশ মন্ত্রক মিথ্যা অভিযোগ এনে ওই ছাত্রীকে শাস্তি দিয়েছে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে।’’
কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান নির্দেশ ফেরানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিদেশি পড়ুয়াদেরও আছে।’’