রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী বাইরন বিশ্বাসকে কেন এখনও বিধায়ক-পদে শপথ নেওয়ানো হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে সক্রিয় হল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের বক্তব্য, বিধানসভার দফাওয়াড়ি বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই বাইরন সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জিতে নির্বাচন কমিশনের শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর শপথ গ্রহণ এখনও না হওয়ায় বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। বাইরনকে নিয়ে শনিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থও হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, রীতি মেনেই রাজ্যপালের কাছে শপথের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁর সিদ্ধান্ত মতোই নতুন বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠান হবে। বিধানসভার চলতি অধিবেশন সোমবারই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। ফলে, বাইরন আদৌ এই অধিবেশনে বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
বিধান ভবনে এ দিন বাইরনকে পাশে নিয়ে অধীরবাবু বলেছেন, ‘‘উপনির্বাচনে জিতে এলে সংসদে শপথ নিতে কিন্তু বেশি সময় লাগে না। অধিবেশন চালু থাকলে তো আরও তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা হয়। সাগরদিঘির বিধায়কের শপথ হয়ে গেলে বিধানসভার এই অধিবেশনে তিনি দলের বক্তব্য তুলে ধরতে পারতেন। কেন এত সময় লাগছে, বোঝা যাচ্ছে না!’’ কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো, অসিত মিত্রেরা এ দিন বিধানসভায় গিয়ে বাইরনের জন্য দলের চিঠিও দিয়ে এসেছেন। বাইরনকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন অধীরবাবু নিজেই। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল জানান, বিষয়টি তাঁর নজরে নেই। তবে এই সংক্রান্ত কোনও ফাইল এসে থাকলে সচিবালয়কে তা দ্রুত তাঁর কাছে পাঠাতে বলেছেন বোস।
প্রদেশ সভাপতি এ দিন ফের বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ হাজার ভোটে হারা সাগরদিঘি বামেদের সমর্থন নিয়ে উপনির্বাচনে তাঁরা জিতেছেন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। অর্থাৎ দুই ব্যবধান মিলিয়ে ৭৩ হাজার ভোট তাঁদের দিকে ঘুরেছে, যা তাৎপর্যপূর্ণ। ভবিষ্যতেও বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ে তাঁদের আপত্তি নেই, তা-ও ফের উল্লেখ করেছেন অধীরবাবু। পাশাপাশিই বিধান ভবনে দলের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীকে পাশে নিয়ে প্রদেশ সভাপতি বলেছেন, ‘‘স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কৌস্তভকে দলের কোনও স্তর থেকে কোনও ভর্ৎসনা করা হয়নি। এই নিয়ে অমূলক বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।’’ মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ধর্না-মঞ্চেও গিয়েছিলেন তাঁরা।