প্রতীকী ছবি।
সকলের জন্য টিকার দাবিতে সরকারের উপরে আরও চাপ বাড়াতে তৎপর হল কংগ্রেস। বিনামূল্যে সব সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য রাজ্যে জেলাশাসক ও অন্যান্য প্রশাসনিক দফতর মারফত দাবি পেশ করবে তারা। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে তাদের টিকা-নীতি সংশোধন করে, সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠিও দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
করোনা পরিস্থিতি এবং রাজ্যে কার্যত লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম এখন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেখানেই ঠিক হয়েছে, সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের পরামর্শ মেনে সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকার দাবিতে দলকে আরও সরব হতে হবে। এই দাবিই আগামী ৯ জুন, বুধবার জেলাশাসকদের দফতরে পেশ করার কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। যেখানে সম্ভব, মহকুমা বা ব্লক স্তরেও দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি, রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, একই টিকার নানা রকম দাম হয় কোন যুক্তিতে? কেন্দ্রের জন্য এক রকম দাম, রাজ্যকে তার চেয়ে বেশি দাম দিতে হচ্ছে আবার বেসরকারি ভাবে কিনতে গেলে দর আরও বেশি! সাম্প্রতিক কালে দৈনিক যে সংখ্যায় টিকা দেওয়া চলছে, সেই গতিতে এগোলে গোটা দেশের সব মানুষের টিকাকরণ শেষে হতে তিন বছর লেগে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অধীরবাবু। রাজ্যপালের কাছে তাঁর দাবি, টিকা-নীতি সংশোধন করে মোদী সরকার যাতে সকলের জন্য দ্রুত, বিনামূল্যে টিকা দিতে সক্রিয় হয়, সেই বিষয়ে তিনি উদ্যোগী হোন।
সূত্রের খবর, ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখন রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেই রাজনৈতিক কর্মসূচি চলবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েছে জেলা সভাপতিদের একাংশ। প্রদেশ সভাপতি অবশ্য বলেছেন, পাঁচ বছর আগেও তাঁরা বামেদের ছেড়ে যাননি, এখনও আগ বাড়িয়ে তেমন কিছু করছেন না। তবে সব দলেই ভোটের পর্যালোচনা চলছে, তার পরে পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে। এআইসিসি-ও সদ্য নির্বাচন পর্যালোচনা সংক্রান্ত রাজ্যের মতামত নেওয়া শেষ করেছে। আপাতত অতিমারির বিধি মেনে জনস্বার্থে কিছু দলীয় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।