—ফাইল চিত্র
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কত আসনে বাম-কংগ্রেস জোট লড়াই করবে, মূলত এই বিষয় নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসন রফার বদলে যৌথ কর্মসূচি স্থির করেই শেষ হয়ে গেল জোটের বৈঠক।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্রান্তি প্রেসে জোটের আসন রফার নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে ছিলেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতারা। এ দিন বামেদের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, আরএসপি রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। কংগ্রেসের তরফে এই বৈঠকে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। কিন্তু বৈঠক শেষে বিমানবাবু যৌথ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, এআইসিসি-র ঠিক করে দেওয়া কংগ্রেসের ‘নেগোশিয়েশন কমিটি’ পূর্ণাঙ্গ ভাবে এই বৈঠকে যোগ দেননি। তাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে।
সম্প্রতি বামেদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করতে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে এআইসিসি। সেই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। প্রদীপ-মান্নানের সঙ্গে এই কমিটিতে রয়েছেন বাঘমুন্ডীর বিধায়ক নেপাল মাহাতো। এ দিনের বৈঠকে অধীর-নেপাল না থাকায় আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবর: সন্ধ্যায় একা না বেরোলে এমন হত না, বদায়ূঁতে কমিশন সদস্যের কথায় বিতর্ক
আরও খবর: সৌরভ বাড়ি ফিরতেই বোর্ড চাপ বাড়াল অস্ট্রেলিয়ার উপর
অধীর চৌধুরী নিজের লোকসভা কেন্দ্রের কান্দিতে ছিলেন এ দিন। পশ্চিমবঙ্গে থেকেও জোটের বৈঠকে অধীর অনুপস্থিত থাকায় বাম নেতারা অন্দরে অন্দরে ক্ষুব্ধ। কিন্তু জোটের স্বার্থে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের সপ্তদশ বিধানসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই এ ভাবে জোটের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতির অনুপস্থিতির কারণে জোটপ্রক্রিয়া অহেতুক বিলম্বিত হচ্ছে বলেই একাংশ বাম নেতারা মনে করছেন। তবে এ দিনের বৈঠকে বাম নেতারা জোটবার্তা স্পষ্ট করতে ব্রিগেড সমাবেশে এআইসিসি নেতাদের উপস্থিতি চেয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত দুই প্রবীণ নেতা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। দু’ঘণ্টার বৈঠকে আপাতত স্থির হয়েছে, জানুয়ারি মাস জুড়ে যৌথ কর্মসূচি করবে বাম-কংগ্রেস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিনের যৌথ কর্মসূচিতেও অংশ নেবে তারা। ২৬ জানুয়ারি ‘সংবিধান ফিরিয়ে দাও, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও’ কর্মসূচি হবে। যেখানে হাজির থাকবেন দু’দলের রাজ্য নেতারা। ২৭ জানুয়ারি জেলায় জেলায় দু’পক্ষের নেতা-কর্মীরা জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে ডেপুটেশন দেবেন। ৩০ জানুয়ারি গাঁধীর প্রয়াণ দিবসে শান্তির পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রামলীলা ময়দান থেকে বেলেঘাটা গাঁধী আশ্রম পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন বাম-কংগ্রেসের নেতারা।