ফাইল চিত্র।
কচুয়ার দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কত তা নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কিছু বিভ্রান্তি থেকে গেল।
কারণ এ দিন সকালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কচুয়া থেকে চারজনের মৃতদেহ এসেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছিল। হাসপাতালের একটি সূত্রও জানিয়েছিল এর মধ্যে অপর্ণা সরকার ও তরুণ মণ্ডলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর অজ্ঞাতপরিচয় বাকি দুজনের দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন ন্যাশনালে জানান, সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে চারজনের কথা বললেও দুপুরের পরে ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষও এসএসকেএমে দুটি মৃতদেহ পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এসএসকেএমের একটি সূত্র অবশ্য জানায়, এ দিন বিকেলের মধ্যেই কচুয়া থেকে আসা দুটি দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
অন্য দিকে এ দিন সকালে কচুয়া থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সনকা দাস ও এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় তাঁদের মৃত্যু ঘোষণার পরে দেহ দুটি মর্গে পাঠানো হয়। আবার এ দিন দুপুরে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পূর্ণিমা গড়াইয়ের মৃত্যু হয়। এই হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় সাত। কিন্তু এ দিন রাতে সরকারি বিবৃতিতে মৃতের সংখ্যা পাঁচ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।